আলোচিত সাত খুনের ৩ বছর
নারায়ণঞ্জ প্রতিনিধি : আজ আলোচিত ৭ খুনের ৩ বছর পূর্ণ হলো। এখনো এ হত্যাকা-ের কথা মনে হলে শিউরে উঠে নারায়ণগঞ্জবাসী। হৃদয় নিংরানো চোখের জলে ভাসে নিহতের পরিবারের সদস্যদের। নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা যেন উচ্চ আদালতেও বহাল থেকে দ্রুত কার্যকর করা হয়, এমনটাই দাবি করে নিহতদের পরিবার।
গতকাল বুধবার নিহত নজরুলে স্ত্রীর ও সাত খুনের মামলার বাদী নাসিক ২নং ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, রায় পেয়েছি। কিন্তু এ রায় সরকার দ্রুত কার্যকর করলে নিহত সাতটি আত্মা শান্তি পাবে। এখনো মনে অজানা ভয় কাজ করে। আতংঙ্কের মধ্যে থাকি। ভাই হারিয়েছি। ভাই হারানোর ব্যাথা বুকে নিয়ে কাঁদি।
নিহত তাজুল ইসলামরে বাবা আবুল খায়ের বলেন, বড় ছেলেকে হারিয়ে কেমন থাকি বাবা। এখনো রায় কার্য করা করা হয়নি। তার পরের আমরা এ রায়ে খুশি। তবে মনে একখো অজানা কি যেনো তারা করে। আমার ছেলের আত্মা শান্তি পারে জানোয়ারদের ফাঁসির রায় কার্যকর হবে।
নিহত গাড়ি চালক জাহাঙ্গীরে স্ত্রী নুুপুর বলেন, একমাত্র মেয়ে রোজা কে নিয়ে ভালো নাই। মেয়ে শুধো বাবা বাবা বলে কাঁদে। মেয়ের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। দু’চোখ দিয়ে পানি ঝরে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের গজারি বনে নজরুল ইসলামের প্রাইভেটকার উদ্ধার হয়। পরে নদী থেকে উদ্ধার করা হয় সাতজনের লাশ।
এরপর সাত খুনের ঘটনায় দু’টি মামলার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন অভিযুক্ত ৩৫ আসামির মধ্যে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ, রানাসহ ২৬ জনকে ফাঁসি ও ৯ জনকে কারাদ- প্রদান করেন।