ইউপি চেয়ারম্যানের নির্মমতার শিকার পাবনার ময়না খাতুন
কলিট তালুকদার, পাবনা : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ স্বামী পরিত্যক্ত এক অসহায় নারীকে সন্ত্রাসী কায়দায় তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিতা ময়না খাতুন (৪৫) সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বংকিরাট গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশ্রিতা । গতকবুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ময়না খাতুনকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ময়না জানান, ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার রেল ষ্টেশন বাজার থেকে শাক-সবজি কিনে বুধবার সন্ধ্যায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দিলপাশার রেল ষ্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে থেকে দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার এবং তার দুই ভাই তরুন এবং কালা ঘোষ তাকে টেনে হিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে দিলপাশার ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে চেয়ারম্যান অশোক কুমার ও তার দুই ভাই তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাতিজা ইশারত আলী (২৯) মারপিটে গুরুতর আহত হয়। মারপিটের একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তরুন ও কালা মোটরসাইকেলে করে তাদেরকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৈডাঙ্গা নদী ঘাঠে ফেলে রেখে যায়। পরে পুলিশ রাত ১২টার দিকে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা না করতে বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ঐ নারী।
তবে এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার জানান, ঐ নারী তাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (তদন্ত) আসিফ ইসলাম বলেন, দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন ওসিকে ঘটনাটি ফোনে জানালে রাতে টহলরত পুলিশ আহতদেরকে কৈডাঙ্গা ঘাঠ থেকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিমা খাতুন জানান, ময়না ও ইশারতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান