সুলতান আল একরাম, ঝিনাইদহ : পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের ২০ হাজার হস্তচালিত নলকূপ অচল হয়ে পড়েছে। এতে শৈলকুপা পৌরসভায়সহ ওই ইউনিয়নগুলোতে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় হস্ত চালিত নলকুপে পানি উঠছে না। পাশাপাশি অনেক অগভীর নলকুপ (শ্যালো মেশিন ) দিয়ে পানি উঠছে না। সৃষ্টি হয়েছে সেচ সমস্যা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমে গড়াই নদী শুকিয়ে যায়। এর ফলে গড়াই তীরবর্তী সারুটিয়া, হাকিমপুর ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে শুষ্ক মৌসুমে ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। ফলে হস্ত চালিত নুলকুপ অচল হয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় খাবার পানির সংকট। যত দিন যাচ্ছে সংকট তত প্রকট হচ্ছে। এ বছর ওই তিন ইউনিয়নের সাথে কাঁচেরকোল, মনোহরপুর, বগুড়া, আবাইপুর, নিত্যানন্দপুর, উমেদপুর ও পৌরসভা এলকায় ভু-গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর থেকে তারা পাম্প স্থাপনের উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পাম্প স্থাপন ব্যয় বহুল। সাধারণ গৃহস্থের পক্ষে সম্ভব নয়। অনেকে মিনি তারা পাম্প বসিয়ে পানি সংকট থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কৃষকরা জানায়, ভূ গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক স্থানে অগভীল নলকুপ ( শ্যালো মেশিন) দিয়ে পানি উঠছে না। ৮-১০ ফুট গর্ত খুঁড়ে ইঞ্জিন গুলো নিচে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেচের পানির অভাবে সদ্য বপনকৃত পাট শুকিয়ে যাচ্ছে। ব্রক্ষ্মপুর গ্রামের চাষি রাশেদ হোসেন বলেন, ইঞ্জিন গর্তে বসানোর পরেও পানি উত্তোলনের পরিমান বাড়ছে না। কম পানি উঠছে। এক বিঘা পাট ক্ষেতে সেচ দিতে ৭ – ৮ লিটার ডিজেল লাগছে। আগে এক বিঘা জমিতে একবার সেচ দিতে সেচযন্ত্রের মালিকরা ৮শ টাকা নিচ্ছিল। এখন ১২শ টাকা নিচ্ছে। ঝিনাইদহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুল আলম বলেন, কুমার ও গড়াই নদীর পানি তলানীতে ঠেকেছে। পাশাপাশি বৃষ্টি নেই, এজন্য হস্তচালিত নলকুপ অচল হয়ে পড়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য পল্লী পানি সরবরাহ কর্মসূচির আওতায় ৬০টি তারা পাম্প বসানোর টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান