যৌতুক মামলায় পুলিশ কনস্টেবল স্বামীকে থানায় সোপর্দ
প্রবীর মোহন্ত,বগুড়া : বগুড়ায় যৌতুক মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবল স্বামী শাহীন মিয়াকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন তার স্ত্রী রিক্তা বেগম। গতকাল শুক্রবার ভোরে এই ঘটনার পর বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে থানা থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নামাজখালি এলাকার আব্দুস সালামের মেয়ে রিক্তা বেগমের সঙ্গে ৬ বছর আগে একই উপজেলার হুয়াকুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হক মন্ডলের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল শাহীন মিয়ার (২৭) বিয়ে হয়। বর্তমানে তার দুই সন্তান রয়েছে।
রিক্তা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুক চেয়ে শাহীন মিয়া তাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতো। গত ৩ মাস আগে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় তার স্বামী তাকে দুই সন্তানসহ বাবার বাড়ি বগুড়া শহরের সুত্রাপুর পার্ক রোড এলাকার বাসায় রেখে চলে যায়। বেশ কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ না থাকলেও গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে হঠাৎ করেই তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাবার বাড়িতে আসে। এরপর কথাকাটাকটির এক পর্যায়ে তাকে বেদম মারধর করে। পরে তিনি বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনার পর রিক্তা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলার তদন্ত ভার দেয় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি)। পিআইবির তদন্তকারি কর্মকর্তা তদন্ত শেষে অনুসন্ধান প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। তদন্তকালে রিক্তাকে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন বলে তিনি জানান। পিআইবির তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রায় ১৫ দিন আগে পরোয়ানা জারি হলেও বগুড়া সদর থানা পুলিশ কনস্টেবল শাহীন মিয়াকে গ্রেফতার না করলে স্ত্রী রিক্তা নিজেই উদ্যোগী হয় স্বামীকে আটক করার। শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় আসলে রিক্তা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় কনস্টেবল শাহিন মিয়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন তিনি তার স্ত্রীকে মারধর করেননি। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
বগুড়া সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) এমদাদ হোসেন ফোনে জানায়, তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ