সৌদিতে নাস্তিকতার অভিযোগে তরুণের মৃত্যুদ-
এম রবিউল্লাহ : বিশ্বের নানান দেশে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না এমন বহু মানুষ রয়েছে। এটি যে শুধু ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে তা নয়। এটি যে কোনো ধর্মের মানুষই করতে পারে। ঈশ্বরে অবিশ্বাসীদের নাস্কিক বলা হয়।
তবে নাস্তিকতার জন্য মৃত্যুদ- দেওয়া হয় এটি বিরল। এবার নাস্তিকতার অভিযোগে সৌদি আরবে এক তরুণকে মৃত্যুদ- দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগে দুইটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সাজা দেওয়া হয় তরুণটিকে। সৌদি আরবের স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যম নাস্তিকতার জন্য মুত্যুদ-ের খবরটি প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয় মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামীর নাম আহমেদ আল শামরি। বয়স ২০ বছর। সৌদি আরবের পূর্ব প্রদেশের হাফার আল বাতিন শহরের বাসিন্দা শামরি। ২০১৪ সালে শামরি ইসলাম ও নবীকে অস্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাতেই তাকে গর্দান হারাতে হচ্ছে।
নাস্তিকতার অভিযোগে শামরিকে ২০১৪ সালে তার নিজ শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় একটি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে মৃত্যুদ- সাজা দেয় স্থানীয় আদালত।
স্থানীয় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শামরির আইনজীবী। তার সাজা মওকুফের জন্য আবেদনও করেন। যুক্তিতে তার মক্কেল নেশাগ্রস্ত ও অন্যের প্ররোচণায় সামাজিক মাধ্যমে ইসলাম ও নবীকে অস্বীকার করে ভিডিও আপলোড করেছেন বলে জানান। তবে আইনজীবীর এ যুক্তি মৃত্যুদ- থেকে রক্ষা কতে পারেনি শামরিকে।
সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছে। সৌদি আরবের আইন মোতাবেক কোনো ধর্মান্তরিত ব্যক্তিকে সাজা পেতে হয়। তার অংশ হিসেবেই দেশটির সর্বোচ্চ আদালত ইসলাম ধর্ম ও নবীকে অস্বীকারের অপরাধে তার মৃত্যুদ-ের রায় বহাল রাখে।
ধর্মান্তরিত হলে সৌদি আরবে কয়েক বছর সাজার বিধান ছিল। ধর্ম নিয়ে সৌদিতে কঠোর আইন করে গেছেন প্রয়াত বাদশাহ আব্দুল্লাহ। দেশটিতে এতো দিন নারীদের ভোটাদান বন্ধ ছিল। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের দাবিতে ২০১৫ সাল থেকে নারীদের ভোটদানে সুযোগ দেওয়া হয়। দ্য ইন্ডেপিনডেন্ট