সরকার পক্ষের নিকট খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ১০টি দাবি
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক
খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল ১৫ এপ্রিল সকাল ১১.০০ টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,এমপি’র সাথে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ.টি ইমাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, নির্বাহী সদস্য এস.এম কামাল হোসেন, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইস্টার সানডে সরকারি ছুটিসহ ১০ দফা দাবীনামা তুলে ধরা হয়।
অন্যান্য দাবীসমূহের মধ্যে রয়েছে- (১) মন্ত্রী পরিষদে সবসময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে একজনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; (২) বিটিভি, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে বড়দিন ও ইস্টার সানডেতে দিনব্যাপি অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে, বঙ্গভবনসহ রাজধানীতে সাজসজ্জা করতে হবে; (৩) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, সামরিক ও পুলিশ বাহিনীসহ বিচার বিভাগে খ্রিস্টান ছাত্র-যুবকদের চাকুরী দিতে হবে; (৪) রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে; (৫) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে যৌথ নির্বাচনের ভিত্তিতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য ৫টি আসন রাখতে হবে; (৬) মৌলচেতনায় ’৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতে হবে, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সকল কার্যকর উদ্যোগ ও নীতি গ্রহণ করতে হবে; (৭) সরকারী স্কুল যেখানে খ্রিস্টান ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করছে সেখানে তাদের ধর্ম শিক্ষার জন্য খ্রিস্টান ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে; (৮) দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খ্রিস্টান ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করতে হবে; (৯) মানসম্মত শিক্ষার লক্ষে দেশের খ্রিস্টান তথা মিশনারী স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সতন্ত্র বৈশিষ্ট বজায় রাখার বিধি-বিধান অব্যাহত রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবীনামাসমূহের অধিকাংশের সাথে সহমত পোষণ করেন এবং সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান। তিনি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং তাদের ক্ষমতায়নের বিষয়েও কথা বলেন। সভা পরবর্তী সময়ে তিনি সাংবাদিকদের নিকট দাবীনামাসমূহের ব্যাপারে কথা বলেন।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও’র নেতৃত্বে ৪৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, দি খ্রিস্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ, ঢাকার প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জোনাস গমেজ, যুগ্ম-সম্পাদক জেমস সুব্রত হাজরা, যোসেফ ডি সরকার, শিক্ষা সম্পাদক ডানিয়েল সিকদার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিউফিল রোজারিও, ক্রিড়া সম্পাদক সলোমন রোজারিও, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিখিল মানখিন, নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ গমেজ, মুক্তিযোদ্ধা গাব্রিয়েল কস্তা, রতন পিটার কোড়াইয়া, রবার্ট বিশ্বাস, এন্ড্রু সিকদার, মলয় নাথ, ক্লেমেন্ট টি ঢালী প্রমুখ।