এশিয়ায় মৃত্যুদ- কার্যকরে পাকিস্তান প্রথম বাংলাদেশ দ্বিতীয়
রাশিদ রিয়াজ : গত বছর এশিয়ার ১১টি দেশে ১৩০ ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। এর সিংহভাগই কার্যকর করা হয়েছে পাকিস্তানে। তবে চীনে ঠিক কতজনের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে তার কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, চীনেই বিশ্বে সর্বাধিক ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়ে থাকে। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে মৃত্যুদ- কার্যকর করার পরিমাণ হ্রাস পেলেও পাকিস্তানে তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এশিয়ায় ২০১৫ সালে মৃত্যুদ- কার্যকরের সংখ্যা ৩৬৭ হলেও গত বছর তা নেমে এসেছে ২৩৯টিতে।
যদিও ২০১৫ সালে পাকিস্তানে ৩২৬ জনের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়, পরের বছর তা নেমে আসে ৮৭ জনে। এশিয়া অঞ্চলে এ হার এখনো সর্বোচ্চ। মৃত্যুদ-ে দ-িত সিংহভাগই পাকিস্তানে জঙ্গি সম্পৃক্ততার দায়ে অভিযুক্ত এবং এদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে সামরিক আদালতে।
গত বছর বাংলাদেশে ১০ ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। এদের ৮ জন হত্যামামলার অভিযুক্ত আসামি এবং বাকি ২ জন যুদ্ধাপরাধী। একই সময়ে মালয়েশিয়া ৯ ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করে। ২০১৪ সালে মালয়েশিয়ায় ৬ জন ও এর পরের বছর ১ ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। ডেইলি স্টার
আফগানিস্তানে প্রায় ৬শ‘ ব্যক্তিকে মৃত্যুদ-ে দ-িত করা হয়েছে গতবছর। তাদের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। একই বছর ইন্দোনেশিয়া ৪ জনের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয় যাদের মধ্যে ৩ জন বিদেশি নাগরিক। এদের সবাই মাদকজনিত মামলার আসামি ছিল।
২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে ৪ জনের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। এদের মধ্যে ২ জন মালয়েশিয়ার ও আরেকজন নাইজেরিয়ার নাগরিক। একই বছর জাপান ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করেছে। এদের মধ্যে একজন নারী। দেশটির ফেডারেশন অব বার অ্যাসোসিয়েশন ২০২০ সালের মধ্যে মৃত্যুদ- প্রথা রহিত করার আহ্বান জানিয়েছে। তাইওয়ান একই সময়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করেছে। সম্পাদনা: আবু সাইদ