বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে বাগদা চিংড়ির খামারে মড়ক লাগায় দিশেহারা চিংড়ি চাষিরা। এ পরিস্থিতিতে রোগ সম্বন্ধে ঠিকঠাক ধারনাও দিতে পারেনি বাগেরহাট মৎস বিভাগ। এতে চাষিরা আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় দিশেহারা। তাদের অভিযোগ, এমন অবস্থায় মৎস বিভাগের কাছ থেকে কোনোরকম সহযোগিতা পায়নি তারা।
বাগেরহাটে সাদা সোনা ক্ষেত বাগদা চিংড়ি জেলা সদরসহ মংলা, রামপাল, কচুয়া উপজেলায় কয়েক লাখ হেক্টর কৃষি জমিতে চাষ হয়ে থাকে। তবে এবার মৌসুমের শুরুতে দেখা দিয়েছে চিংড়ির মড়ক। আর এতে উৎপাদন খরচ ও ঋণ শোধের চিন্তায় দিশেহারা চাষিরা।
চিংড়ি চাষ করা এক খামারি বলেন, ‘লোন করে চিংড়ির পোনা ছেড়ে ছিলাম। কী এমন রোগ হলো, আমার সব মাছ মরে গেছে। এখন আমি লোন কীভাবে শোধ দিবো এ চিন্তায় ঘুম আসে না।’
এদিকে কী ধরনের রোগের কারণে চিংড়ির ঘেরের এই অবস্থা তা জানা নেই চিংড়ি চাষিদের। চাষিদের অভিযোগ চিংড়ি ঘেরে মড়ক প্রতিকারে কোনো পরার্মশ দিতে এগিয়ে আসেনি স্থানীয় মৎস্য বিভাগ। তবে আক্রান্ত বাগদা চিংড়ি সংগ্রহ করে রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে বলে জানান মৎস্য বিভাগ।
এ সম্পর্কে বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম রাবিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা থেকে চিংড়ির নমুনা সংগ্রহ করেছি। এই চিংড়িগুলো নিয়ে আমরা পিসিআর ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার কালচারের মাধ্যমে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম হবো’। এদিকে বাগেরহাট জেলায় এ বছর বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ২৭১ মেট্রিকটন। উৎপাদিত এই চিংড়ি অধিকাংশই রপ্তানি হয়ে থাকে বিভিন্ন দেশে। সম্পাদনা : জাহিদ হাসান