কূটনৈতিকভাবেই সমাধান করা উচিত
ড. আবদুল্লাহ হেল কাফি
ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যে বড় ধরনের সংঘাত হবে বলে আভাস দিয়েছেন তা উদ্বেগজনক। তবে তিনি এটিও বলেছেন, পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে সম্প্রতি সৃষ্ট সংকট সমাধানে কূটনৈতিক চেষ্টাই বেশি থাকবে। এটাই হলো আসল। কারণ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ছাড়া এই মুহূর্তে যুদ্ধ লাগলে সেটা হবে খুবই ভয়াবহ। কেননা আগের দিনের যুদ্ধ আর বর্তমান দিনের যুদ্ধ এক জিনিস না। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে আক্রমণ করে তাহলে উত্তর কোরিয়াও কিন্তু বসে থাকবে না। তারাও কিন্তু পদক্ষেপ নিবে এবং পাল্টা আক্রমণ করবে। সে ব্যাপারে তারাও কিন্তু হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, আমাদের উপর আক্রমণ হলে সঙ্গে সঙ্গে আমরাও পাল্টা আক্রমণ করব। স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আক্রমণ করা সহজ হবে না। কারণ উত্তর কোরিয়ারও পারমাণবিক অস্ত্র আছে। আমার মনে হয়, আক্রমণ করার চেয়ে কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যা সমাধান করা উচিত। আর এখন তো বিশ্বায়নের যুগ। বিশ্বায়নের যুগে সারা পৃথিবীতেই সকল রাষ্ট্রের মানুষ আছে সব রাষ্ট্রে। কাজেই এখন যুদ্ধ হলে দেখা যাবে যে আমেরিকার মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মানুষ মারা যাবে। কাজেই কূটনৈতিক পর্যায়ে সমাধান করা উচিত বলে আমি মনে করি।
এই পর্যায়ে এসে আসলে যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই আমি মনে করি এবং যুদ্ধ না হলেই সবার জন্য মঙ্গল। কারণ যুদ্ধ লাগলে শুধু উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, দেখা যাবে পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়ছে। আমরাও কিন্তু আক্রান্ত হবো। সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো। কাজেই যুদ্ধ যাতে না হয় এটাই সবার প্রত্যাশা।
পরিচিতি: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাবি
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান