এম.শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের বৃহত্তম বিল চান্দাসহ অন্যান্য বিলে অন্তত ৬শ’ হেক্টর জমির বোরো ধান জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ধান এখন পানিতেই পচে যা”েছ। আধা পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন কেউ কেউ। তবে অনেক কৃষকই জমির ধান গজিয়ে যাওয়ায় তা আর কাটতে যাচ্ছেন না। কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানিতে ভাসছে। প্রতি বছর জোয়ারের পানি তাদের কষ্টের ফসল রক্ষা করতে বিলের চারপাশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, আর প্রয়োজনীয় সøুইস গেট নির্মাণের দাবী এলাকার সাধারণ কৃষকদের।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী গোপালগঞ্জে এ বছর ৭৩ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। ধানের উৎপাদনও ভাল লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। বেশির ভাগ জমির ধানেই আধা পাকা অব¯’ায় ছিল। মনের সুখে পাকা ধান কাটবেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন এলাকা বিভিন্ন বিল এলাকায় বোরো ধান কাটতে ধানকাটা শ্রমিকেরাও এসে গিয়ে ছিলেন। কিন্ত কৃষকের মুখে হাসি ফোটার আগেই তাদের স্বপ্নের ধান জোয়ারের পানিতে, আর সেই সাথে টানা ৪ দিনের বর্ষণে তলিয়ে গেছে।
মুকসুদপুর উপজেলার পাটকেল বাড়ি গ্রামের সুরেশ বিশ্বাস (৫৫), মনোরঞ্জন বিশ্বাস (৫৮), পবিত্র মন্ডল (৪০), মহাটালী গ্রামের সিতাংশু মন্ডল জানান, তাদের স্বপ্নের সোনালী ধান এখন পানিতেই তলিয়ে গেছে। আধা পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন কেউ কেউ। জোয়ারের পানি তাদের কষ্টের ফসল রক্ষা করতে বিলের চারিপাশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, আর প্রয়োজনীয় স্লুইস গেট নির্মাণের জোর দাবি জানান তারা।
জোয়ারের পানি ও টানা বর্ষণের ফলে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির সত্যতা স্বীকার করে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য অশোক বিশ্বাস, উজানি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্যামা প্রসাদ বৈরাগী। এদিকে, জোয়ারের পানি তাদের কষ্টের ফসল রক্ষা করতে বিলের চার পাশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, আর প্রয়োজনীয় সøুইস গেট নির্মাণের দাবি সেখানকার কৃষকদের। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান