লক্ষ্মীপুরে ২৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই
জহিরুল ইসলাম শিবলু,লক্ষ্মীপুর: একদিকে নেই শিক্ষক অন্য দিকে নেই বিদ্যালয়ের ভবন আর এই দুই মিলে শিক্ষক আর অবকাঠামো সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক শিক্ষা। শিক্ষক সংকটে পড়াশোনায় চরম ব্যাঘাত ঘটছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। আর অবকাঠামো না থাকার দরুন খোলা আকাশের নিচে পাঠ-দানের কারণে দিন-দিন সন্তানদেরও বিদ্যালয়ে পাঠাতে আর উৎসাহবোধ করছেন না অভিভাবকরা। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা খাতে পরিবেশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর।
জেলার অনেক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে কোনো রকমে চলছে এসব বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এতে শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তালিকায় জেলার পাঁচ উপজেলার ৭৩১ বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৩৮টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেয়ায় ৯৬, রায়পুর উপজেলায় ৩৪, রামগঞ্জ উপজেলায় ৫৬, রামগতি উপজেলায় ২৭ ও কমলনগর উপজেলায় ২৫ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষকরা। জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় রয়েছে ৬৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সদর উপজেলার খোদাওয়ান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিলশাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায়পুরের পূর্ব গাইয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমলনগরের চর জগবন্ধু, ডিএম ফলকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, এ সব বিদ্যালয়ের ভবন গুলোর বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে বড়-বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে দেয়াল ও ছাদের ঝরাঝির্ণ অংশ। দরোজা-জানালাগুলো ভাঙ্গা। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই পরিত্যক্ত ভবনে করা হচ্ছে পাঠদান। সদর উপজেলার খিদিরপুর ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে শ্রেণীকক্ষ সংকট। তাই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করা হয় বারান্দায়। করপাড়া পূর্ব গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রৌশন আক্তার উপজেলা শিক্ষা অফিসে নতুন ভবন নির্মাণের আবেদন করেছেন বেশ কয়েকবার।সম্পাদনা মুরাদ হাসান