আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফকে সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা
আল হেলাল শুভ : শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থপতি কাজী আরিফ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর পর পরই সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের জনগণ। গত শনিবার নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাজী আরিফ। ৬৫ বছর বয়সী এই স্থপতি হৃৎযন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগেছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিমানে কাজী আরিফের কফিন ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখানে তার মরদেহ গ্রহণ করে পরিবারের সদস্যরা। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সেখানে এই শিল্পীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান দেশের বিভিন্ন আবৃত্তি সংগঠনের সদস্য, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। অনুষ্ঠানটির সমন্বয় করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
সাংস্কৃতিক এই ব্যক্তিত্বকে শেষ বিদায় জানাতে এসেছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা, স্থপতি ও লেখক শাকুর মজিদ প্রমুখ। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। সেখান থেকে পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেয়া হয় মেয়ের ধানমন্ডির বাসায়। সেখান থেকে বিকালে উত্তরায় তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
কাজী আরিফ জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশে আবৃত্তিচর্চা এবং আবৃত্তিশিল্পকে আধুনিক সংগঠিত রূপ দিতে আশির দশকে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিলেন কাজী আরিফ। আবৃত্তির পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন তিনি, সক্রিয় ছিলেন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। আবৃত্তির জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন থেকে পুরস্কারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের দেওয়া ফোবানা পুরস্কার এবং কলকাতা থেকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সম্পাদনা : হুমায়ুন কবির খোকন