পরাগ মাঝি : ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে মে দিবসের র্যালি হঠাৎই বিক্ষোভে রূপ নেয়। হুডি পরা কিছু তরুণ নিরাপত্তারক্ষীদের দিকে পেট্রল, ককটেল ছুঁড়ে মারলে পুলিশও তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পেট্রল-ককটেলের আঘাতে একজনের অবস্থা শোচনীয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রায় ১৫০ জন বিক্ষোভকারীর একটি দলকে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। বিক্ষোভকারীদের মূল দলটি কাছেই ছিল। ঘিরে রাখা দল থেকেই পেট্রল-ককটেল ছুঁড়ে মারা হচ্ছিল। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজও শোনা গেছে। প্রায় ৯ হাজার দাঙ্গা পুলিশের একটি দলকে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য মোতায়েন করা হয়।
ফ্রান্সের শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সদস্যরা প্রতিবছরই প্যারিসে শোভাযাত্রা করে। তবে, এবার ওই শোভাযাত্রা থেকে ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ম্যারি লি পেনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। লি পেন যেন কোনোক্রমেই প্রেসিডেন্ট হতে না পারেÑ তাই তাদের লক্ষ্য। শুধু লি পেনই নন, নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কেউ কেউ এসময় দুজনকেই না ভোট দেওয়ার নিয়ম চালু করার দাবি তুলে। এক ব্যানারে লেখা ছিলÑ ‘প্ল্যাগও চাই না, কলেরাও না।’
ফিলিপ মার্টিনেজ নামে এক শ্রমিক নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানান, লি পেনকে পুরোপুরি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ইউনিয়ন। তিনি বলেন, ‘আমার কথা পরিষ্কার, সমাজিক অগ্রগতির জন্য ন্যাশনাল ফ্রন্টকে বর্জন করতে হবে। কারণ এই দলটি বর্ণবাদী, বিশ্বায়ন এবং নারীবিরোধী।’
বিক্ষোভ চলাকালীনই ন্যাশনাল ফ্রন্ট প্রার্থী ম্যারি লি পেন এক টুইট বার্তায় আহত পুলিশদের প্রতি তার সমবেদনা জানান। এও জানান, তিনি এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না।
এছাড়া প্রথম পর্বের নির্বাচনে চতুর্থ হওয়া বামপন্থি নেতা জ্যঁ লুক ম্যালেঙ্কোঁও প্যারিস শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। ম্যারি লি পেন জ্যঁ লুকের ভোটারদের টানতে নির্বাচনের আগমুহূর্তে এসে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। লি পেন তাই জোর দিয়ে বলছেন, ‘ম্যাক্রোঁর ব্যবসা চিন্তায় বামপন্থি আদর্শের পুরোপুরি বিরোধিতা করা হয়েছে।’
সে যাই হোক, বেশ কয়েকদিন নীরবতার পর রোববারের সমাবেশে জ্যঁ লুক তার সমর্থকদের লি পেনকে ভোট না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দ্য টেলিগ্রাফ