জাফর আহমদ : সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারকে জনগণের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি, গণমাধ্যমের জন্য সহায়ক আইনি পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে গণমাধ্যমকে সর্বদা সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছে টিআইবি। গতকাল টিআইবি’র মেঘমালা সম্মেলন কক্ষে ‘এসডিজি-১৬ ও সুশাসন : সরকার, গণমাধ্যম ও জনগণ’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এ কথা বলেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন গণমাধ্যম বিশ্লেষক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর এবং সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী।
সংলাপে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এসডিজি অবহিতকরণ থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সকল পর্যায়ে সরকার, জনগণ ও গণমাধ্যমের অনেক বেশি ভূমিকা রয়েছে। যা সামগ্রিকভাবে লক্ষ্যসমূহ অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বিদ্যমান নানা ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাজনিত চাপ, হুমকি, অসহযোগিতা, বাধা-বিপত্তি, স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপ ইত্যাদি মোকাবিলা করে গণমাধ্যম কর্মীদের যেমন এগিয়ে যেতে হবে,তেমনি এ সকল বাধা-বিপত্তি সরিয়ে গণমাধ্যমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য জনগণ, বিশেষ করে এসডিজি প্রধান বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে সরকারকে অধিকতর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ‘এসডিজি-১৬ ও সুশাসন : সরকার, গণমাধ্যম ও জনগণ’ শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক ড. রিজওয়ান-উল-আলম। অনুষ্ঠানে এসডিজি-১৬’র সুশাসন সম্পর্কিত লক্ষ্যমাত্রার কার্যকর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের করণীয় তুলে ধরা হয় উপস্থাপনায়। উপস্থাপনায় উল্লেখ করা হয় সাংবাদিকরা যেন সঠিক সময়ে তথ্য পেতে পারে ও তথ্যের যথার্থতা যাচাইয়ের সুযোগ পায়-এমন একটি সমন্বিত তথ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এসডিজির সুশাসন বিষয়ক ‘টেকনিক্যাল পরিভাষা’কে জনগণের সহজবোধ্য ভাষায় ছড়িয়ে দিতে হবে। সুশাসনের চাহিদা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের তাৎপর্যময় ভূমিকা পালনের যোগাযোগের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং সরকারের উন্নয়ন যোগাযোগ কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।
এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকা- ও পরিচালনা পদ্ধতিকে জনবান্ধব করা, স্থানীয় প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রচেষ্টা হিসেবে কমিউনিটি মিডিয়া, রেডিওকে সংবাদ প্রকাশের সুযোগ দেওয়া, জনগণকে তার অভিমত প্রকাশের সুযোগ দেয়া, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা না করা, ইন্টারনেট বা ফেসবুক বন্ধের মতো উদ্যোগ না নেওয়া এবং গণমাধ্যমকে ‘পাবলিক গুডস’ হিসেবে বিবেচনা করার মতো পরামর্শ উঠে আসে আলোচকদের বক্তব্যে। সম্পাদনা : হুমায়ুন কবির খোকন