চলনবিলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
শামিউল হক শামীম, চলনবিল: চলনবিলের বিভিন্ন বাজারে ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন বোরো ধান। এদে ভাল দাম পাওয়ায় চলনবিলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার-ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর ও নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রত্যন্ত চলনবিলে প্রায় ২লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ করা হয়। বর্তমানে চলনবিলে পুরোদমে বোরো ধান কাট চলছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বিঘা প্রতি মিনিকেট ২২-২৪ মন, উনত্রিশ জাতের ধান বিঘা প্রতি ২৫-২৮ মন, হাইব্রিড জাতের ধান বিঘা প্রতি ২৮-৩০ মন ফলন হচ্ছে। ধান কাটার শুরুতেই ধানের বাম্পার ফলনে কৃষক খুশি হলেও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কৃষকের পাঁকা ধানের ক্ষতি হয়। এমনকি কৃষি শ্রমিকের সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েন হাজার হাজার কৃষক। তারপরও ধানের বাম্পার ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় চলনবিলের কৃষক বর্ষণজনিত ক্ষতি পুষিয়ে নেবার চেষ্টা করছেন। চলনিবিলের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ধানের হাট চাঁচকৈড়, নিমগাছি, রংবাঘা, গুল্টা, বিনসাড়া, নওগাঁ, বোয়ালিয়া, মির্জাপুর, সলংগা, বামিহালসহ ২০থেকে ২৫টি হাটে প্রচুর পরিমাণে নতুন বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বি-আর মিনিকেট জাতের ধান কাঁচা-ভেজা ধান মন প্রতি ৮৪০-৮৬০ এবং শুকনা ধান প্রকারভেদে ৯৪০-৯৫০ দরে বিক্রি হচ্ছে। বি-আর আটাশ জাতের ধান মন প্রতি (শুকনা) ৯২০-৯৩০, সদ্য উঠা বি-আর উনত্রিশ জাতের ধান ৯৩০-৯৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাবনার দাশুরিয়া থেকে আসা ধান ব্যবসায়ী সোলাইমান হোসেন মোড়ল জানান, চলনবিলের বিভিন্ন হাট বাজারে নতুন বোরো ধান উঠা শুরু করেছে। বর্তমানে ধান ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আবহাওয়া ভাল থাকলে ধানের দাম আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চলনবিলের বিভিন্ন চালের চাতালে কাঁচা-ভেজা ধানের চাহিদা থাকায় মহাজনরা চলনবিলের যোগাযোগের ব্যবস্থাও ভাল থাকায় একেবারে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেই ধান সংগ্রহ করছেন। সবমিলে বর্তমানে চলনবিলের বিভিন্ন হাট বাজারে ধানের যে দাম রয়েছে তা স্থিতিশীল থাকলে চলনবিলের কৃষক ধানের ভাল দাম পেয়ে লাভবানই হবেন এমনটি জানিয়েছেন-তাড়াশ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান