যৌতুকের মামলায় মেজর স্বামীর গ্রেফতার ও সন্তানের খোঁজ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধায় যৌতুকের মামলায় স্বামীকে গ্রেফতার ও শিশু সন্তানের খোঁজ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক মেজরের স্ত্রী। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রেসক্লাবে মেজর সাইফুল হকের স্ত্রী শামীমা নাসরিন সংবাদ সম্মেলন করেন।
মেজর একেএম সাইফুল হক চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত (বিএ নং- ৫২২০)। তার বিরুদ্ধে গত ১১ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কিন্তু গত চার মাসেও সাইফুল হক গ্রেফতার না হওয়ায় অবিলম্বে তার গ্রেফতার দাবি ও ১৩ বছর বয়সের ছেলের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শামীমা নাসরিন। লিখিত বক্তব্যে শামীমা নাসরিন জানান, ভালোবেসে ২০০২ সালের ২৫ জুন সাইফুল হককে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সাইফুল যৌতুকের দাবি করেন। একপর্যায়ে ইনস্যুরেন্সের কথা বলে স্ত্রীর কাছ থেকে কৌশলে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাকে তালাক দেন সাইফুল। পরবর্তীতে চাকরির অসুবিধা হতে পারে বিবেচনায় ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর আবারো তাদের বিয়ে হয়। তাসিনুল হক নামে তাদের ১৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
শামীমা আরও জানান, ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সাইফুল তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। যৌতুকের টাকা না দিলে সংসার করতেও অস্বীকৃতি জানান সাইফুল। এ অবস্থায় গত দুই বছর ধরে গাইবান্ধার থানাপাড়ায় বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। গত বছরের ২২ আগস্ট তিনি সাইফুলের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুকবিরোধী আইনে মামলা করেন।
গত ১১ ডিসেম্বর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও এখন পর্যন্ত সাইফুল গ্রেফতার না হওয়ায় শামীমা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমার সন্তানকে কোথায়, কি অবস্থায় রাখা হয়েছে তাও আমি জানি না।
শামীমা নাসরিনের আইনজীবী সারওয়ার হোসেন বাবুল জানান, মেজর সাইফুল হককে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। এরপর আরও তিনটি ধার্য দিন চলে গেলেও সাইফুল হাজির হননি। ফলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাইফুল গ্রেফতার হননি। তিনি আদালতের মামলায় কোনো আইনজীবীও নিযুক্ত করেননি। এ বিষয়ে মেজর সাইফুল হকের মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।