পাক সেনাপ্রধানের নির্দেশেই ভারতীয় ২ জওয়ানের শিরñেদ
আশিস গুপ্ত, নয়াদিল্লি : কাশ্মীর সীমান্তে দুই সেনা জওয়ানের শিরñেদের ঘটনার তদন্তে নেমে বিস্ফোরক তথ্য হাতে এলো গোয়েন্দাদের। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার নির্দেশেই ভারতীয় ২ জওয়ানের শিরñেদ করেছে পাক সেনাবাহিনী। ৩০ এপ্রিল পাকিস্তানের হাজি পীরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছিলেন জেনারেল কামার। সেখানেই তিনি নির্দেশ দেন কাশ্মীর সীমান্তে আঘাত হানার । ১৭ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে নাকি ৭ থেকে ১০ জন পাক সেনার মৃত্যু হয়। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলার ছক বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পাক লেফটেন্যান্ট জেনারেল নদিম রাজার নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই নিয়ে পাকিস্তানকে সতর্কও করেছে ভারত। ডিজিএমও-র তরফে কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে ভারত এই ঘটনা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না। ডিডিওমও-র আরও দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক বর্ডার অ্যাকশন ফোর্স বা ব্যাট। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাতে নিজেরাও প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করেছে। এটা সহজভাবে দেখছে না ভারত। ইতোমধ্যেই ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিতে গতকাল বুধবার ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার আবদুল বসিতকে তলব করে বিদেশ মন্ত্রক। সমন পেয়ে এদিন দুপুরে বিদেশমন্ত্রকে যান বাসিত। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও বিদেশমন্ত্রকের কাছে কড়া কথা শুনতে হয় আব্দুল বাসিতকে। জওয়ানের মু-চ্ছেদে দোষী পাক সেনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে ভারত। গত সোমবার দুই ভারতীয় জওয়ানের মু-চ্ছেদ করে পাকবাহিনী। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, বর্ডার অ্যাকশন টিম বা ব্যাটেরই এই বর্বরোচিত কাজ। কোনো একটা ফাঁদ পেতে দুই ভারতীয় জওয়ানকে আলাদা করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। সীমান্তের এপারে প্রায় ২৫০ মিটার পর্যন্ত ভারতীয় সেনা ঢুকে পড়েছিল বলেও জানা যায়। ভারত এ ঘটনার নিন্দা করলেও খুব প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যদিও ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। কিন্তু সে ব্যাপারে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা কেন্দ্রের তরফে খোলাসা করে জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে কোনো বিবৃতিও দেননি। এই অবস্থাতেই আজ সাউথ ব্লকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত প্রমুখ। বৈঠকের পরই ডাক পাঠানো হয় পাক রাষ্ট্রদূত আব্দুল বাসিতকে।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে জানান, পাক রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ভারতের ক্ষোভের কথা জানানো হয়েছে। এবং যে পাক রেঞ্জার্সরা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ