অপহরণের দুই মাস পর স্কুলছাত্রী প্রিয়া উদ্ধার
মাসুদ আলম : রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে অপহরণের প্রায় দুই মাস পর প্রিয়া আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ভাটারা থানা পুলিশ । প্রিয়া স্থানীয় ছোলমাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এদিকে অপহরণের ঘটনাটি দামাচাপা দিতে প্রিয়ার পরিবারকে সমঝোতার জন্য চাপ দিচ্ছে ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আক্তার হোসেন । তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, ভাটারা থানার ফাঁসেরটেক এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো প্রিয়া। একই এলাকায় থাকতো চাঁন মিয়া। গত ৭ ফেব্রুয়ারী দুপুরে ফাঁসেরটেক এলাকা থেকে প্রিয়া আক্তারকে অপহরণ করে পূর্ব পরিচিত চাঁন মিয়া ও তার সহযোগীরা। এসময় চাঁন মিয়ার সঙ্গে ছিল প্রিয়ার বান্ধবী রোকসানা, তার মা আবেদা খাতুন, আকবর ও তার বোন শিল্পী। ঘটনার দিন রাতে জাহাঙ্গীর ভাটারা থানায় একটি জিডি করেন। পরে এ ঘটনায় চাঁন মিয়া ও তার সহযোগীদের আসামি করে আদালতে মামলা করেন জাহাঙ্গীর। চাঁন মিয়া গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার শ্যামপুর এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই চাঁন মিয়ার পক্ষে সমঝোতার চেষ্টা করে আক্তার মেম্বার। আক্তার ভাটারা থানা যুবলীগের নেতা। অপহরণের কিছুদিন পর জাহাঙ্গীরের মোবাইলে ফোন করে চাঁনমিয়া জানায় প্রিয়া তার কাছে আছে। প্রিয়াকে ফেরত পেতে হলে চাঁন মিয়াকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তানা হলে প্রিয়াকে হত্যা করা হবে। ঘটনার পর থেকে তদন্ত শুরু করেন থানার এসআই জিয়া উদ্দিন । প্রিয়াকে ফেরত দিতে চাঁন মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। আজ, কাল প্রিয়াকে ফেরত দেওয়া হবে বলে ঘুরাতে থাকে চাঁন মিয়া। পরে বৃহস্পতিবার সকালে প্রিয়াকে ভাটারা থানায় সামনে রেখে যায় চাঁন মিয়া ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে প্রিয়ার পরিবার থানা এসে প্রিয়াকে দেখতে পান। তিনি আরও বলেন, প্রিয়া তার বাবাকে জানিয়েছে মুখে কাপড় চেপে তাকে অপহরণ করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে করে প্রিয়াকে চাঁন মিয়ার গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জোর করে প্রিয়াকে বিয়ে করে চাঁন মিয়া। তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো। পালিয়ে আসার চেষ্টা করলেও পারেনি প্রিয়া।ভাটারা থানার ওসি নূরুল মুত্তাকিন বলেন, প্রিয়াকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্পাদনা: জাফর আহমদ