রফিক আহমেদ : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় জোটে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত যুক্তফ্রন্ট জোট যোগ দিচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কাকরাইল সুপার মার্কেট, দ্বিতীয় তলায় যুক্তফ্রন্ট জোটের কার্যালয়ে সভায় যোগ দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয় বলে যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী ড. মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান।
যুক্তফ্রন্ট জোটের চেয়ারম্যান লায়ন সালাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্তফ্রন্ট জোটের শরিক ১৫টি দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বক্তব্য দেন। সভায় ১৫টি দল সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত যুক্তফ্রন্ট জোট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যজোটে যোগদান করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সভায় জোটের নেতারা বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯ বছরের শাসনকাল ছিল স্বর্ণযুগ। সে সময়ে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছেন, বাংলাদেশ আজ খাদ্য রপ্তানি করে। এসব উন্নয়নের জন্য, বর্তমান সংসদকে কার্যকর রাখার জন্য এরশাদের অংশগ্রহণ ও অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি জাতীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে আকাশচুম্বী সাফল্য পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ১৫টি দল সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত যুক্তফ্রন্ট জোট জাতীয় ঐক্যজোটে যোগ দিচ্ছে।
যুক্তফ্রন্ট জোটের শরিক দলগুলো হচ্ছে- কৃষক শ্রমিক পার্টি- কেএসপি, আঞ্জুমানে তরিকতে সাজ্জাদী, নতুনধারা গণতান্ত্রিক পার্টি- এনজিপি, বাংলাদেশ দেশপ্রেমিক পার্টি- বিডিপি, সম্মিলিত নাগরিক পার্টি, বাঙালি জনতার পার্টি- বিজেপি, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি- বিজিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা পার্টি, বাঙালি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, বিশ্ব শান্তি মুক্তির গণপরিষদ, বঙ্গপার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক ওলামা পার্টি, প্রগ্রেসিভ পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক মুক্তি পার্টি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ