জাফর আহমদ : অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ করেছে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে চালের ঘাটতি নেই। হাওরাঞ্জলে বন্যায় ধান ডুবে যাওয়ার অজুহাতে অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে চালের মূল্য বাড়িয়েছে। গতকাল খাদ্য অধিদফতরে মিল মালিকদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী, উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর এপ্রিল মাসের দিকে চালের দাম বৃদ্ধি পায়। এ সময় নতুন ধান উঠার পূর্ব মুহূর্ত। হাওরাঞ্চলে ধান ওঠা শুরু হয়ে যায়। মিলাররা পুরাতন ধান শেষ করে নতুন ধান কেনার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় চালের দাম কিছুটা বাড়ে। এবার হওরাঞ্চলে ধান ডুবে যাওয়ার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে চালের দাম বেশি বাড়িয়েছে। কারসাজি করে আরও যাতে ধানের মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারে এ জন্য খাদ্যমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল আমদানির উপর শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া প্রস্তাব সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, বন্যায় হাওরাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ লাখ টন খাদ্য নষ্ট হতে পারে, এটা বেড়ে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন গড়াতে পারে। এতে খাদ্য ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এ নিয়ে প্রচার হয়েছে বেশি। চাল আমদানি শুরু হলে এ সব অসাধু ব্যবসায়ীরা নতুন করে চালের দাম বৃদ্ধি করতে পারবে না। তবে চাল আমদানির ফলে কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকারের চাল সংগ্রহ ও নজরদারি কার্যক্রম চলবে।
ধান মজুদ করে বাজারে কৃত্রিমভাবে দাম বৃদ্ধি করছে- এমন অভিযোগের জবাবে মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী জানান, প্রতি ১৫ দিন পর পর আমরা চালের মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেই। এ ব্যাপারে সরকারও বিভিন্নভাবে চালের মজুদ পরিস্থিতির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়। এ কারণে মিল মালিকদের চালের মজুদ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিবছর নতুন রোপা ধান উঠার সময় মিলে কিছুটা পুরাতন ধান রাখা হয়। এবার সেটাও নেই। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ