জিনাত রায়হানা : কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ বাঁধলে উত্তর কোরিয়া প্রথমেই পারমাণবিক হামলা চালাবে জাপানে। উত্তর কোরিয়ার রাডোং সিনমুন পত্রিকায় গত বুধবার এ ধরনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোরিয়া উপদ্বীপে যুদ্ধের আশঙ্কায় জাপান অবকাঠামোগত ভিত্তি স্থাপন করছে, দেশটিতে মার্কিন ঘাঁটি স্থাপন করলেও তাদের প্রথম আক্রমণ করা হবে। জাপান যদি নিজের দেশের স্বার্থ চিন্তা করে তবে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটবে।
পত্রিকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পারমাণবিক বিপর্যয়ের কথা স্মরণ করিয়ে বলা হয় একই অবস্থা হবে উত্তর কোরিয়া যদি জাপানে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। অন্য দেশের চেয়ে জাপান ভালো জানে পারমাণবিক বোমা কতটা ভয়াবহ। পত্রিকায় আরও বলা হয়, সংবিধানে বিদেশি সামরিক কর্মকা- অনুমোদনের জন্য জাপান আঞ্চলিক উত্তেজনাকে ব্যবহার করছে। যুদ্ধের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরঞ্জাম আনার উদ্দেশ্য হচ্ছে যুদ্ধের পর তাদের স্থিতিশীল অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করা। আরও বলা হয়, জাপানকে খুব বিচক্ষণতার সাথে আচরণ করা উচিত কারণ কোরিয়া যুদ্ধে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাপান।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার সামরিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র জাপানে ড্রোন স্থাপন করছে। গত সোমবার আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক ড্রোনটি টোকিওর বিমান ঘাঁটিতে এসে পৌঁছেছে। ড্রোনটি আগামী ৫ মাস জাপানে অবস্থান করবে। এটি প্রায় ১৫ কি.মি. পর্যন্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করবে। অচিরেই এ ধরনের আরও ৪টি ড্রোন জাপানে পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। সম্পাদনা : জাহিদ হাসান