কিরণ সেখ : দেশে গণতন্ত্র ভালো চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যকে ‘সুপার জোকস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রী সত্যের অপলাপ করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর কমিটি ও ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, এটা সত্যের অপলাপ মাত্র। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এটাকে দ্যাট ইজ দ্য সুপার জোকস অব ইয়ার বলতে পারি। তিনি বলেন, গত বুধবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হয়েছে। সেই দিবসে আমরা যে সমস্ত বক্তব্য শুনেছি, বিশেষ করে সরকারি ঘরানার লোকজনের কাছ থেকে শুনলাম যে, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। গণতন্ত্রের মূল যে ফ্রি প্রেস- সেটাই তো চলছে না। সহায়ক সরকারের দাবি আদায়ে বিএনপির পদক্ষেপ জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, যখন সময় আসবে তখন যথাসময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার নিয়ে যথাসময়ে একটি রূপরেখা দেওয়া হবে বলেও এ সময় জানান তিনি। দেশব্যাপী বিএনপির কর্মীসভাগুলোতে বাধা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে উজ্জীবিত করতে ইতোমধ্যে সাংগঠনিক সফর শুরু করেছে। কিন্তু সেই সফরে নানাভাবে পুলিশ বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমরা অনেক জায়গায় কর্মী সম্মেলন করতে বাধাগ্রস্ত হয়েছি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘দুর্নীতিবাজ সরকার’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্নীতি হচ্ছে এদের (আওয়ামী লীগ) প্রধান উদ্দেশ্য। যার উত্তর সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিয়ে দিয়েছেন। আসলে তারা নিজেরাই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) দুর্নীতি করছেন এবং পালিয়ে যাবেন। যৌথসভার পর সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, আগামী ৭ মে মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে এবং ৮ মে মহানগর উত্তরের কর্মীসভা হবে, তবে ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউশনের কর্মীসভাটি হবে পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ