নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে স্পষ্ট যে, বিচার বিভাগের সঙ্গে যে নির্বাহী বিভাগের কোনো দূরত্ব নেই। আমার মনে হয় মাননীয় প্রধান বিচারপতি গতকালই এর অবসান ঘটিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের কোনো দূরত্ব নাই। গতকাল তিনি বাংলাদেশ লায়নস ক্লাব ৩১৫ এ ওয়ান এর ২২তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এই কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের অবকাঠামো, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ সামগ্রিক উন্নয়নের সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বর্তমানে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে।
তিনি অনুষ্ঠানে আরও বলেন, আপনারা সমাজের দায়িত্বশীল অংশীদার। আপনাদের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব ছাড়া উন্নয়ন এবং কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাও সম্ভব নয়। আমি আপনাদের দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই। উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি এসকে সিন্হা নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েনের বিষয়টি ও দূরত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন। নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধির গেজেট প্রকাশ নিয়েও কথা বলেছেন। এই ব্যাপারে তিনি গতমাসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে পাশ কাটানো হচ্ছে। এর মধ্যেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচারপতি সিন্হাকে ইঙ্গিত করে বলেন, কোনো দেশে প্রধান বিচারপতিরা প্রকাশ্যে এত কথা বলেন না। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সংসদ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে সমঝোতার মাধ্যমেই চলতে হবে। পরস্পরকে দোষারোপ করে একটি রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না। গত ৩০ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে বলেই তাকে কথা বলতে হচ্ছে। নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে টানাপড়েনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে দায়ী করে বগুড়ায় এক অনুষ্ঠানে এসকে সিন্হা বলেন, বিচার বিভাগকে পুঙ্গ করার চেষ্টা তিনি মেনে নেবেন না। এই ব্যাপারে আইনমন্ত্রী প্রকাশ্যে কিছু না বলবেন না।