উ.কোরিয়াকে থামাতে আসিয়ানকে চান টিলারসন
ডেস্ক রিপোর্ট : উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে তহবিল যোগান বন্ধে সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান) এর সাহায্য কামনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।
আসিয়ান দেশগুলোকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসের আহ্বানও জানান তিনি।
ওয়াশিংটনে আসিয়ান ভূক্ত ১০ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথমবার বৈঠকে এ কথা বলেন টিলারসন। বিডিনিউজ
আসিয়ানভূক্ত ১০ দেশ: ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিলিপিন্স, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও ব্রুনাই। কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ এবং সব ধরনের সামরিকীকরণ বন্ধে আসিয়ান দেশগুলোকে দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানার দাবিতে অটল থাকার আহ্বানও জানান তিনি। চীন দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশের মালিকানা দাবি করে এবং সেখানে তারা কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের পাশাপাশি সামরিকীকরণও করেছে।
পূর্ব এশিয়া বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিক মুরফি বৃহস্পতিবারের বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার পূর্ণ বাস্তবায়নে টিলারসন আসিয়ান দেশগুলোর নেতাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে টিলারসন সব দেশকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাতিল বা হ্রাসের আহ্বান জানান। উত্তর কোরিয়া তাদের অস্ত্র প্রকল্পে তহবিলের যোগান দিতে কূটনৈতিক সুযোগসুবিধাগুলোর অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সেইসঙ্গে বিদেশি ফার্ম বা ব্যক্তি যারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করছে তাদের আটকাতে যদি তাদের নিজ দেশ ব্যবস্থা না নেয় তবে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন। আসিয়ান ভূক্ত সব দেশেরই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি দেশের পিয়ংইয়ংয়ে দূতাবাসও আছে। মুরফি বলেন, ওয়াশিংটন এখনই আসিয়ান ভূক্ত দেশগুলোকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক শেষ করে দিতে বলছে না। ‘তবে উত্তর কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের আড়ালে অন্য কিছু করছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখার আহ্বান জানাচ্ছে।’ এরই মধ্যে কয়েকটি দেশ এ কাজ শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পিয়ংইয়ংয়ের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস আসিয়ান ভূক্ত দেশগুলোতে অবস্থান করা তাদের শ্রমিকদের আয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ