প্রত্যাশা নতুন পদ্ধতিতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হবে
ড. এ কে আজাদ চৌধুরী : এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেখে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন এবং প্রধানমন্ত্রী যা উল্লেখ করলেন তা ফেস ভেলুতে হিসেবে নিলে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, তারা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের পদ্ধতিটা পরিবর্তন করেছেন। আগের চেয়ে আরও উচ্চতর, উন্নতমানের মূল্যায়নের কারণেই পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে বলে মনে হয়। কোনো কোনো বোর্ডে পাসের হার অনেক বেশি কমেছে। কুমিল্লায় পাসের হার ২৫% কমেছে। বরিশাল বোর্ডেও উল্লেখযোগ্য হারে পাসের হার কমেছে। এ বছর জিপিএ গ্রেডও তুলনামূলকভাবে কমেছে আগের বছরের তুলনায়। এতেই বোঝা যায়, আগের চেয়ে এবার খাতাগুলো একটু ভিন্নভাবে দেখেছে। এটা যদি সত্যিকার অর্থেই শিক্ষার মান উন্নয়নের পদক্ষেপ হয় তাহলে সেটা খুব ভাল। এটার প্রশংসা আমি করি। তবে এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, সেটা কী? গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে আমরা জিপিএ দিয়েছি, শতভাগ পাসের হার দেখিয়েছি, তাতে কি সেটা প্রশ্নবোধক হয়ে যায় না? তবে অতীতে যা হওয়ার তা হয়েছে। আশা করছি, এখন থেকে নতুন পদ্ধতিতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হবে। এবার যারা পাস করেছে, জিপিএ পেয়েছে, মেধার পরিচয় দিয়েছে তারা এইচএসসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতেও ভালো করবে। পরবর্তী জীবনে কাজের দক্ষতাতেও প্রমাণ রাখবে। নতুনভাবে খাতা মূল্যায়নের পদ্ধতি এবং পুরনো পদ্ধতি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি ওয়াকিবহল নই। তবে গত তিন বছর ধরে চেষ্টার মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত মূল্যায়নই হচ্ছে বলে মনে হয়।
পরিচিতি: শিক্ষাবিদ ও সাবেক চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান