ডেস্ক রিপোর্ট : পাকিস্তানি আয়কর আধিকারীকদের হাতে নি:গৃহীত উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিক ও তার স্ত্রী। অভিযোগ ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাসের। পাকিস্তানি আবগারি শুল্ক দপ্তরের প্রধান শোয়েব সিদ্দিকির কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে আর্জি জানিয়েছে। আজকাল
উত্তর কোরীয় দূতাবাসের দাবি, গত ৯ এপ্রিল করাচিতে ওই কূটনীতিকের বাড়িতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তান আয়কর দপ্তরের জনা দশেক কর্মী। প্রত্যেকের হাতেই অস্ত্র ছিল। ওই কূৃটনীতিক ও তার স্ত্রীর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালায়। মহিলার চুলের মুঠি ধরে মারধর করে তারা। মাথায় বন্দুকও তাক করে। চলে যাওয়ার আগে বিধ্বস্ত স্বামী-স্ত্রীর ছবি তোলে তারা। সিসিটিভি ক্যামেরায় গোটা ঘটনাটি রেকর্ড হয়েছে বলেও জানিয়েছে উত্তর কোরীয় দূতাবাস। অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন শোয়েব সিদ্দিকি। তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছি। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’ নিরাপত্তার খাতিরে নি:গৃহীত কূটনীতিকের নাম পরিচয় প্রকাশে অস্বীকার করেছেন সিদ্দিকি। যেহেতু চীনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের সুসম্পর্ক রয়েছে, তাই বরাবর উত্তর কোরিয়াকে সমীহ করে এসেছে ইসলামাবাদ। গোপনে পিয়ংইয়ংকে গোপন তথ্য বিক্রি করেছেন বলে ২০০৪ সালে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান। তার জেরে দুই দেশের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। কিন্তু কাদিরকে গৃহবন্দী করে সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দেয় পাকিস্তান। পরে নিজের মন্তব্য থেকে সরে আসেন কাদিরও। তারপর ২০০৯ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে যেখানে সেখানে আলটপকা মন্তব্য করে বসতে নিষেধ করে দেওয়া হয় তাকে। সেই থেকে ভালই চলছিল। কিন্তু কূটনীতিক নি:গৃহের ঘটনায় ফের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ