ডেস্ক রিপোর্ট : তিন তালাক পাওয়া মুসলিম মহিলাদের জন্য এ বার পেনশন প্রকল্প চালু করতে চলেছে আসাম সরকার। বৃহস্পতিবার এ কথা জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
তিন তালাকের পর মুসলিম মহিলারা যাতে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারেন সেজন্য কারিগরি বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাদের। পাশাপাশি সমস্ত বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান শর্মা। তার মতে, বিবিহবিচ্ছিন্না অন্যান্য মহিলার মতোই তালাকের পর মুসলিম মহিলারা খোরপোশ হিসাবে কিছুই পান না। ফলে তাদের নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই তাদের স্বনির্ভর করে তোলার পাশাপাশি পেনশনও দেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের ‘রিভাইসড ড্রাফ্ট পপুলেশন পলিসি’তে তালাক পাওয়া মুসলিম মহিলাদের পেনশন নিয়ে প্রস্তাব পেশ করা হয়। আগামী আগস্টেই বিধানসভার অধিবেশনে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রস্তাবিত এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ। সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল যাদের দুটোর বেশি সন্তান থাকবে, তারা কোনো সরকারি চাকরি পাবেন না। প্রস্তাবিত নীতি যদি অনুমোদন পায় তাহলে সরকার আরও একটা বড় লক্ষ্যের দিকে এগোবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আনন্দবাজার
তিন তালাক নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার বরাবরই সরব। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি উঠলে, সেখানেও তিন তালাক প্রথার বিরোধিতা করে কেন্দ্র। তাদের মতে, এই প্রথা মুসলিম মহিলাদের মর্যাদাকে ক্ষুণœ করে। তাই তিন তালাক প্রথা তুলে দেওয়ার পক্ষেই সরব হয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনা করেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ