৯ বছর ধরে টেমস নদীর ধারে… বিএনপির রাজপুত্র : ওবায়দুল কাদের
আল হেলাল শুভ : বিএনপির মুখে দুর্নীতির অপবাদ, ভূতের মুখে রাম নাম করার মতো। অথচ দুর্নীতির দায়ে তাদের রাজপুত্র (তারেক রহমান) ৯ বছর ধরে টেমস নদীর ধারে পালিয়ে আছেন। এমন মন্তব্য করেছের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার ঢাকার কেরাণীগঞ্জে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ইকুরিয়া কার্যালয়ে ‘পেশাদার গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে চালকদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত গাড়ি চালনার জন্য চালকদের বিশ্রামের উপর গুরুত্ব দেন মন্ত্রী।
বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি বছরের সেরা তামাশা আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যাচার করছেন। তারা (বিএনপি) গণতন্ত্র ও দুর্নীতির কথা বলেন। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে বহু সেনা অফিসারের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছিল। তারা গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে পেট্রল মেরে মানুষ হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণতন্ত্র সঠিকভাবেই চলছে। বিশ্বের ১৩২ গণতান্ত্রিক দেশের আইপিইউ সম্মেলনে তার নাম যোগ হয়েছে। এর চেয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রমাণ আর কি থাকতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে বলেই ১৩২টি দেশের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও পার্লামেন্ট মেম্বারদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে সাকসেসফুল এত বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সব সড়ক-মহাসড়কে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পরপর একটি করে বিশ্রামাগার তৈরির জন্য সরকার জায়গা দেবে। নতুন এ পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি জায়গায় পরিবহন মালিক ফেডারেশন নিজ খরচে এ ধরনের বিশ্রামাগার তৈরি করবে।
চালকদের বিশ্রামাগার তৈরির জন্য মালিক ফেডারেশনকে অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের বিশ্রামের জায়গা করে দিতে হবে। মালিক ফেডারেশনকে অনুরোধ করেছিÑ বিশ্রামের স্থান, আনুষঙ্গিক প্রয়োজনগুলো মেটাতে পারে এ রকমের জায়গা দিতে প্রস্তুত আছি। মালিকদের কাছে আরও বলব, চালকদের কর্মঘণ্টা ঠিক করে দিন। অতিরিক্ত পরিশ্রম করাবেন না, তাকে মানুষের মতো বাঁচতে দিন। পরিবহন মালিকদের কাছে অনুরোধ, শ্রমিকদের ওভারটাইম খাটিয়ে মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেবেন না।
চালকদের দিয়ে অতিরিক্ত সময় গাড়ি চালানোকে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, একজন চালক ঢাকা থেকে কক্সবাজার যায়। আবার সেই গাড়ি সেই চালকই নিয়ে আসে। সে সময় দুর্ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ঢাকা জেলা পুলিশের সহযোগিতায় বিআরটিএ ঢাকা জেলা সার্কেল এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় দেড় শতাধিক চালক অংশ নেন। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। সম্পাদনা : হুমায়ুন কবির খোকন