জাফর আহমদ : নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত সাব-কমিটি অভ্যন্তরীণ রুটের ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী জাহাজ ২০২২ সাল পর্যন্ত চলার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু জ্বালানি মন্ত্রণালয় ভিন্ন এক নির্দেশনায় এসব জাহাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ৪০টি জাহাজ বেকার হয়েছে। এতে এক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
নৌযান পরিবহন সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ রুটের জ্বালানি তেল বহনকারী সিঙ্গেল হাল ডাবল বটম ও ডাবল হাল সিঙ্গেল বটমধারী ৪০টি জাহাজ বন্ধ করে দেয়। স্বাধীনতার পর থেকে এসব জাহাজ নারায়ণগঞ্জ ডিপো থেকে নদী পথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত। গত মার্চ মাসে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সমম্বয়ে গঠিত সাব-কমিটি এসব জাহাজ শর্তসাপেক্ষে ২০২২ সাল পর্যন্ত চলার অনুমতি দেয়। এ সময়ে মধ্যে এসব জাহাজের হাল ও বটম সিঙ্গেল থেকে ডাবল করার সময় বেঁধে দেয়। এ সময়ের মধ্যে বেশকিছু জাহাজ সাব-কমিটির নির্দেশ মতো সিঙ্গেল থেকে ডাবল করার কার্যক্রম শুরু করে। এরই মধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় তিন কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনাকে চিঠি দিয়ে এসব জাহাজকে তেল পরিবহন থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয়। ফলে বেকার হয়ে পড়ে এসব জাহাজ এবং জাহাজে কর্মরত প্রায় এক হাজার শ্রমিক।
বাংলাদেশ নৌযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী আশিকুল আলম জানান, এসব শ্রমিক বন্ধ হয়ে যাওয়া জাহাজে ১৫ থেকে ৪০ বছর ধরে কাজ করছে। ফলে এসব শ্রমিক নৌযান চালানোর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। হঠাৎ করে এসব জাহাজ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এক সহস্রাধিক শ্রমিক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ মুহূর্তে তাদের অন্য কোথাও কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এসব শ্রমিক অভিজ্ঞ। তিনি বলেন, এসব জাহাজের হাল ও বটম ডাবল করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মতো সময় দিতে হবে। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ