কক্সবাজারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়
তারা দুর্দিনেও নাই, উন্নয়নেও নাই
বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাধিক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপি দেশের উন্নয়ন করেনি। তিনি বলেন, বিএনপি দুর্দিনেও নাই, উন্নয়নেও নাই। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে খালি হাতে আসিনি। অনেক প্রকল্প নিয়ে এসেছি। যে কাজগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো উদ্বোধন করেছি। যেগুলো করব, ওগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।
গতকাল বিকালে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিতে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই বিমান আজ কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করলো। আমি এই বিমানের মাধ্যমে এখানে আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনার ঘোষণা দিলাম। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই এয়ারপোর্টটি (বিমানবন্দর) জরাজীর্ণ ছিল, ৯৬ সালে সরকারে এসে এটিকে উন্নত করে যাই। এই বিমানবন্দরকে উন্নত করার জন্য আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিএনপি নেত্রী জানতেন না। সেই সময় সংসদে তোলার পর উনি (খালেদা জিয়া) বলে দিলেন, যত মরার কথা, তত মানুষ মরে নাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করে, তারা জনগণের কথা ভাবে না। তারা ক্ষমতা ভোগ করে আর কিছু এলিটকে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিলাম, আমি শাসক না জনগণের সেবক হিসেবে বাংলাদেশ পরিচালনা করব। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, আমি জানি এটা আমার জন্য কঠিন পথ। কারণ এই মাটিতে আমার বাবা-মা-ভাইসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের পথ ধ্বংস করাই বিএনপির কাজ। বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। এর আগে তারা নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে ১৬৫জনকে হত্যা করেছে। পরিবহন খাতে ৫৫জন চালক হেলপারকে হত্যা করেছিল, ৫৮২স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন করে, বিএনপি ক্ষমতায় এসে হ্ত্যাযজ্ঞ চালায়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কক্সবাজার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ৭ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তাদের পরিবারগুলোর ওপর নির্যাতন করেছে। উখিয়ার বৌদ্ধমন্দিরে আগুন দিয়েছে। কক্সবাজারের হিন্দুপল্লীর বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ পালপাড়া, টাইমবাজারে সংখ্যালঘুদের দোকান, বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ওই সময়। ২০ হাজার একর বনভূমি বিএনপির ক্যাডাররা দখল করে নিয়েছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ওবায়দুল কাদের, গণপূর্তমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি