বরিশাল প্রতিনিধি: বন্যা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেত পানিতে ডুবলেও ধানগাছ পঁচবে না। ওই পানির মধ্যেই বেড়ে উঠবে ধান। এমনকি কম সময়ে পাকা এই ধানে উৎপাদনও হবে বেশি। ১৩ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এ ধরনের দুইটি ধানের জাত ব্রি-৭৬ ও ব্রি-৭৭ উদ্ভাবন করেছে বরিশাল ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ ধান চাষ সম্প্রসারিত হলে বরিশালে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
বরিশাল ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে নতুন উদ্ভাবিত সাদা মোটা ও দুধকুমার ধান দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটির জন্য উপযুক্ত। আমন মৌসুমে ৩০ থেকে ৪০দিন বয়সী দুই ফুট উ”চতার এই চারা রোপণের ১২০ দিনের মধ্যেই কাটার উপযুক্ত হবে। এ সময় ক্ষেত একটানা পাঁচদিন পানিতে ডুবে থাকলেও ধানের কোন ক্ষতি হবে না। এমনকি জোয়ার-ভাটার পানি এবং বন্যায় সাড়ে চার ফুট উ”চতার ধানগাছ নুয়ে পড়বে না। হেক্টরপ্রতি চাষে লাগবে ২০ কেজি বীজ। যাতে ফলন হবে সাড়ে চার থেকে পাঁচ টন। বরিশাল ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষকরা জোয়ার-ভাটার পানি থেকে শুরু করে আকস্মিক বন্যার পানিতে ক্ষেত ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকেন। এতে করে এক থেকে দুইদিন পানির নিচে ধানের চারা থাকলে তা পচে যায়। এরপর পানি কমলে ওই ক্ষেত পরিস্কার করে নতুনভাবে চারা লাগানো কৃষকের পক্ষে সম্ভব হয়না। ফলে ধান ঘরে তুলতে না পারায় কৃষকের কাঁধে ঋণের বোঝা বেড়ে যায়। এ কারণে গত ১৩ বছর ধরে গবেষণা করে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটির উপযুক্ত ধানের চারা উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ধানের চারা এ বছর থেকে প্রথমবারের মতো কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করবে বরিশাল কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
বরিশাল ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ প্রজনন) ড. আলমগীর হোসেন জানান, আমন মৌসুমে ৩০ থেকে ৪০দিন বয়সী দুই ফুট উ”চতার এ ধান চারা রোপণ করার ১৫০ দিনের মধ্যে কাটার উপযুক্ত হবে। যেসময় ধান কাটার উপযুক্ত হবে তখন এর উচ্চতা হবে সাড়ে চার ফুট। এমনকি জোয়ার-ভাটার পানি এবং বন্যায় ।