বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত
নাজমা হক, বেনাপোল প্রতিনিধি: দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে সমস্যার অন্ত নেই। অবকাঠামো উন্নয়নে নানা কাজ হলেও ফলাফল এখন ও শুন্য বলা চলে। এরমধ্যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের অভাব। স্থলবন্দর বিদ্যুত সমস্যা জর্জরি বন্দরে ব্যবসা বাণিজ্যসহ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম চলছে জেনারেটরে ভর করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই বন্দর সরকারের বড় অংকের রাজস্ব যোগানদাতা হলেও এখানকার অবকাঠামো পরিস্থিতি উন্নয়নে সংশিষ্ট কারো তেমন নজরদারি নেই। ফলে শুরু থেকেই তাদেরকে ভোগানিতে ভোগ করতে হচ্ছে। আর বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যাতে বিদ্যুত সরবরাহ থাকে এনিয়ে কাজ চলছে।
স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দিনের অধিকাংশ সময় এখানে বিদ্যুৎ থাকেনা। আর ঝড় বৃষ্টি হলে কমপক্ষে দুই দিন বিদ্যুতের দেখা মেলে না। তাই সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানেই বাধ্য হয়ে বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে জেনারেটর। বন্দর,কাস্টমস চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন,পর্যটন করপোরেশন,ব্যাংক,বিমা সব খানেই দেখা যায় জেনারেটরের লাইন সংযোগে অফিসিয়াল কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এসব জেনেরেটর কম ক্ষমতা সম্পূর্ন হওয়ায় ভারী যন্ত্রের মেশিনগুলো ভালোভাবে চলছে না। মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পন্য খালাশ কাজে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিরক্ত হচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা যায়, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৩ কিলোমিটার। মাত্র তিনঘণ্টায় একটি পণ্যবাহী ট্রাক সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে বেনাপোল বন্দর থেকে রওনা দিয়ে পৌছাতে পারে কলকাতায়। ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে এপথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি দুই দেশের-ই ব্যবসায়ীদের। কিন্তু সার্বক্ষনিক বিদ্যুত সরবরাহসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় মারাত্বক ভাবে ব্যবহত হচ্ছে বাণিজ্য।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সিনিয়ার সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, শুরু থেকেই এখানকার অবকাঠামোর বেহাল দশা। বন্দর এলাকায় আমদানি-রফতানি বানিজ্যের সাথে সম্পক্ত সরকারী-বেসরকারী প্রায় তিন হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। প্রতিবছর এবন্দর দিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হচ্ছে।