মৌলভীবাজারে ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, দুর্ভোগে ২১ হাজার গ্রাহক
স্বপন কুমার দেব , মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার জেলা সদরে বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র না থাকায় মৌলভীবাজার শহর ও শহরতলির ২১ হাজার গ্রাহক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এখানে বিদ্যুৎ আসে শ্রীমঙ্গল ও ফেঞ্চুগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে। দুটি লাইনই গ্রাম, পাহাড় ও হাওর-বাঁওড়ের মধ্যদিয়ে এসেছে। এতে ঝড়বৃষ্টি হলেই লাইনের ওপর গাছপালা পড়ে এবং বজ্রপাতে ইনসুলেটর ফেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক দিন আগেও এ কারণে শহরে ১৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল এবং মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ ৩৩ কেভি (কিলোভোল্ট) গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে। জেলা সদর থেকে শ্রীমঙ্গলের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে জেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর বিকল্প হচ্ছে মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ লাইন। মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল লাইনে সমস্যা হলে জেলা সদরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে এ ব্যবস্থা।
পিডিবি মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল এবং মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। কারণ, ওই দুই উপকেন্দ্রের সরবরাহ লাইনের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে। বজ্রপাতে বিদ্যুৎ লাইনের ইনসুলেটর ফেটে যায়। গাছপালা কেটে পরিষ্কার করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইনসুলেটরের স্থান চিহ্নিত করতে অনেক সময় লেগে যায়। প্রায় পুরো লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। এর মধ্যে বৃষ্টি থাকলে লাইন মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে দেরি হয়ে যায়।