তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাস পেলেও পাটে ইতিবাচক
জাফর আহমদ : তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। জুলাই এপ্রিল ৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৬২৯ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলারের। কিন্তু রপ্তানি হয়েছে ২৩ হাজার ১৩৭ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ। আগের বছর এর হার ছিল ছিল ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে পাট ও পাটজাত রপ্তানি ইতিবাচক। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বেশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি পোশাক খাতের নানামুখি সংস্কার ও উন্নয়নের ফলে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল। দেশের তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তায় এসব উদ্যোগের ফলে বিদেশি ক্রেতারাও সন্তুষ্ট। ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন বিজিএমইএ এর পরিচালক আব্দুল্লাহ আল রাখিব। তিনি বলেন, এ বছরের এখনো দুই মাস সময় আছে এ সময়ে রপ্তানি বেড়ে প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ওভেন খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাইনাস হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ১৪১ দমমিক ৯৩ মিলিয়নস ডলারের তৈরি পোশাক। কিন্তু রপ্তানি হয়েছে ১১ হাজার ৭৭৩ হাজার মিলিয়ন ডলারের। প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির চেয়ে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দশমিক ১৪ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নীট গার্মেন্ট রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১১ হাজার ৪৫৭ মিলিয়ন ডলারের। রপ্তানি হয়েছে ১১ হাজার ২৫৪ মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। ওভেন ও নীট মিলে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ। তা ক্রম হ্রাসমান। আগের মাসে জুলাই-মার্চ ৯ মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ২১ শতাংশ।
দেশের দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি পণ্য পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। প্রাক্কলন ছিল ৭৮১ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি। কিন্তু রপ্তানি হয়েছে ৮২৬ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য। এর মধ্যে কাঁচা পাট রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ দশমিক ২২ শতাংশ; পাট সুতা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ