কামরুল আহসান : ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবস। ১৯৪৫ সালের এদিন জার্মানির বার্লিনে রুশ সৈন্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল নাৎসি বাহিনী। তখন রাশিয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন জোসেফ স্ট্যালিন। আর আজ ভøাদিমির পুতিন।
৭২ বছর পর এ দিনটি উদযাপন করার জন্য ব্যাপক সামরিক শক্তির প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিয়েছেন ভøাদিমির পুতিন। প্রায় এক বছর ধরে সেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর উদযাপন চলবে প্রায় পুরো মে মাস জুড়েই। ৫ তারিখ শুরু হয়েছে প্যারেড প্রস্তুতি। চলবে তিন দফায় ২৫ মে পর্যন্ত।
উৎসবে প্যারেডে অংশ নিচ্ছে ক্যাডেট বাহিনীর নারী সদস্যরা। তাদের কুচকাওয়াজে মিউজিক বাজানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে অক্রেস্ট্র্রা। রাশিয়ার নামিদামি সঙ্গীত পরিচালকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেখানে। আর শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য আয়োজন করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর ব্যাপক মহড়া। তাতে প্রদর্শন করা হয়েছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র। অংশ নিয়েছে ১৪ হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্য, ১২৬টি সাঁজোয়া যান এবং ৭৮টি যুদ্ধবিমান।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ৯ মে রাশিয়ায় জাতীয় ছুটির দিন। এদিনের উৎসবে সমগ্র রাশিয়া এক হয়ে যায়। এটি তাদের প্রধানতম এক উৎসবের দিন। ৪ বছর ভয়াবহ যুদ্ধের পর জার্মান বাহিনীর হাত থেকে তারা রাশিয়াকে মুক্ত করে। যুদ্ধবিরোধ আইন লঙ্ঘন করে হিটলার অন্যায়ভাবেই রাশিয়ার উপর আগ্রাসন চালায়। যাতে সূচনা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। মিরর ও উইকিপিডিয়া