বিপ্লব বিশ্বাস : গত ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের রাতে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও সায়মন সাদিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। গত সোমবার তিনি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সা?ধারণ ডায়েরি নম্বর ৩৬৫। যাদের বিরুদ্ধে শাকিব অভিযোগ করেছেন সেই তালিকায় চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও সাইমন সাদিকের নাম রয়েছে। এছাড়া রয়েছে আরও কয়েকজনের নাম।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আবদুর রশীদ বলেন, ‘গত সোমবার চিত্রনায়ক শাকিব খান একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছি। যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
লিখিত অভিযোগে শাকিব বলেন, আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি পদে দায়িত্বরত আছি। ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মে দিবাগত রাত প্রায় ১টা ৩০ মিনিটে বিভিন্ন মারফত আমার কাছে খবর আসে যে নির্বাচনের ফলাফল এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। আপিল বিভাগের লোকজন শিল্পী সমিতির ভেতরে ভোট গণনা কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি হিসেবে বিষয়টি দেখা আমার এখতিয়ারভুক্ত বিধায় আমি বিএফডিসিতে আসি এবং দেখি যে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে আপিল বিভাগের লোকজন ও বাইরে বহিরাগত লাল গেঞ্জি পরিহিত পিস্তল হাতে একজন সন্ত্রাসীসহ চাপাতি হাতে কয়েকজন লোক অবস্থান করছে।
শাকিব আরও লিখেছেন, ‘এই সকল বহিরাগত লোকজন বিএফডিসির ভেতরে এতো রাতে কীভাবে এলো এবং কেন অস্ত্র হাতে অবস্থান করছে, জানতে চাইলে ওখানে উপস্থিত সাইফ খান কালু (নৃত্য পরিচালক), সায়মন সাদিক (নায়ক), জিয়া (অভিনেতা) ফাইটার শামীমসহ অজ্ঞাতনামা অনেক লোক আমার ওপর হামলা করতে আসে। আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। আমার একজন ভক্ত আমাকে রক্ষা করতে গেলে আক্রমণকারীর ছুরির আঘাতে তার হাত কেটে যায়। আমি নিজের প্রাণ রক্ষার্থে পুলিশ, আমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, কিছু কলাকুশলীর সহযোগিতায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’
শেষে শাকিব লিখেছেন, ‘উক্ত সন্ত্রাসীরা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়া ধর ধর বলে ধাওয়া দেয়। বর্তমানে বিভিন্ন মারফত হইতে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে এবং রাস্তাঘাটে মেরে ফেলবে।