শাহানুজ্জামান টিটু : প্রধান বিচারপতি সত্য কথা বলায় প্রধানমন্ত্রীর এতো জ্বালা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। গতকাল পার্লামেন্টের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখেছেন, উনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন, প্রধান বিচারপতি বলেন কি করে? রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতি বলবে না। এদেশে আইনের শাসন কোথায়? কোথায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা?
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানি ভবনে মহিলা দলের কর্মী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী মহিলা দল খিলক্ষেত থানা শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) চান দেশে আপনার শাসন কায়েম হোক। এর জন্য প্রধান বিচারপতি সত্য কথা, ন্যায়ের কথা বললে আপনি তাকে ধমক দেন। আপনি সর্বোচ্চ আদালতগুলোর উপর কর্তৃত্ব ফলাতে পারছেন না বলেই এতো উষ্মা, এতো ক্রোধ। এই কারণেই আপনি ধমক দিচ্ছেন।
রিজভী বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি স্বাধীন দেশে বিচার, স্বাধীন বিভাগ, প্রধানমন্ত্রী আপনি হলেন শাসন বিভাগের কর্তা। আপনি জোর করে, ভোটারবিহীন ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু আপনার গায়ে জ্বালা হচ্ছে যখন প্রধান বিচারপতি বলছেন যে দেশে আইনের শাসন নেই বিচার বিভাগের শাসন নেই। দেশে যদি সত্যিই শাসন থাকতো তবে আপনার গায়ে জ্বালা লাগতো না।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে খালেদা জিয়ার মামলার বিচারে ১৪০ বার সময় পায় কিভাবে? এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ১৪০ বার সময় দিতে হবে কেন? আপনি এদেশে বিচার বিভাগকে, নিম্ন আদালতকে প্রভাবিত করেন বলেই আজকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা বারবার বিচারপতির উপর নো কনফিডেন্স দেয় তখন নিম্ন আদালতের বিচারক বলেন, আমরা নো কনফিডেন্স গ্রহণ করি না। কেন, তার কারণ তারা আপনার দ্বারা প্রভাবিত, আপনার ভয়ে কম্পিত। কারণ এর আগে এক মামলায় বিএনপির নেতাকে খালাস দেওয়ার কারণে বিচারক বাংলাদেশে থাকতে পারেননি। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয় আপনার ভয়ে।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ঢাকা মহানগর মহিলা দল উত্তরের সভাপতি পেয়ারা মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক আমিনা খাতুন প্রমুখ। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ