মজুদ যথেষ্ট তারপরও বাজারে বাড়ছে রোজায় ব্যবহৃত পণ্যের দাম
জাফর আহমদ : রোজায় ব্যবহৃত সকল পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত। দেশে আসার অপেক্ষায় রয়েছে আরও পণ্য। তারপরও রোজার তিন-চার মাস আগেই বাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আমদানি সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন ও রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বাজারে দেখা গেছে প্রতি কেজি ছোলার দাম ৯০ টাকা থেকে বাজার ভেদে ১০০ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ৭০ টাকা, এক কেজি মশুরির ডালের দাম ৯০ থেকে বাজার ভেদে ১৪০ টাকা এবং প্রতি কেজি খেজুরের দাম ২০০ থেকে বাজার ও ধরণ ভেদে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। রোজায় ব্যবহৃত এসব পণ্য গতবছর ঈদের আগে কম মজুদ ও আমদানি তুলনামুলক বেশি থাকার পরও এবছর বাজারে রোজায় ব্যবহৃত এসব পণ্যেরও দাম বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে চিনি আমদানি করা হয়েছে ১৬,৯৯,২৮১ মেট্রিক টন, আমদানি মূল্য ছিল ৬৫,৮৬,৭৭,০০০ মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে চিনি আমমদানি করা হয়েছিল ১৫,২১,৭১২ মেট্রিক টন, আমদানি মূল্য ছিল ৫১,৪৮,০৮,০০০ ডলার। এ বছর ছোলা আমদানি করা হয়েছে ৬৪,৩৫৫ মেট্রিক টন। এর আমদানি মুল্য ছিল ৪,৬৪,৭৬,০০০ ডলার। জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে মশুরির ডাল আমদানি করা হয়েছে ২,৪৬,৬১৪ মেট্রিক টন. আমদানিমূল্য ছিল ১৯,৪৩,৭৫,০০০ ডলার। আগের বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ১,৩৩,৯৬৪ মেট্রিক টন; আমদানি মূল্য ছিল ১১,৮০,০২,০০০ ডলার। খেজুর আমদানি করা হয়েছে ১১,৩১০ মেট্রিক টন; আমদানি মুল্য ছিল ৬২,৯৯,০০০ ডলার। আগের বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ১১,১৫৭ মেট্রিক টন; আমদানি মুল্য ছিল ৬৪,৬৮,০০০ ডলার। এসব পণ্যের দাম গত কয়েকদিন আগেও এখনকার চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছিলো। কিন্তু রোজার এগিয়ে আসার সাথে সাথে এসব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআই এর সাথে পরিচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, বাজারে দাম যে হারে বেড়েছে এটা খুবই কম। এর জন্য আমাদের খরচও বেড়েছে। তবে রোজায় যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে; যাতে মানুষের দুর্ভোগ না বাড়ে সে ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ