কাহারোলে ৮০ ভূমিহীন পরিবারে ঠাঁই হয়েছে গুচ্ছ গ্রামে
সাইফুল ইসলাম-,কাহারোল (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের কাহারোলে ভূমিহীন ৮০টি পরিবার ঠাঁই পেয়েছে সুন্দরপুর গুচ্ছ গ্রাম ও একই ইউনিয়নে বাগপুর-২ গুচ্ছগ্রাম। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৫নং সুন্দরপুর ইউনিয়নে অবস্থিত সুন্দরপুর গুচ্ছগ্রাম-১ ও বাগপুর গুচ্ছগ্রাম-২ এ ঠাঁই পেয়েছেন এ ইউনিয়নের ৮০টি ভূমিহীন পরিবার। জানা যায়, প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউপির সুন্দরপুর গুচ্ছ গ্রাম-১ এর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। গত ৩ মে’১৭ প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাগপুর-২ গুচ্চগ্রামের উদ্বোধন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার কাহারোল উপজেলার ৫নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর মৌজার ঢেপা নদীর চরে ৫ একর ৭৫ শতক জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে গুচ্ছ গ্রামটি। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে ঐ গুচ্ছ গ্রামের কাজ শুরু করা হয়েছিল। সরকারের ভূমিমন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায়, সিভিআরপি প্রকল্পের আওতায় এর আওতায় সুন্দরপুর গুচ্ছ গ্রাম-১ ও বাগপুর-২ গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প দুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঐ গুচ্ছ গ্রামের শত ভাগ কাজও সমাপ্ত করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য সরকারের ব্যয় হবে প্রায় দেড় লাখ টাকা ত। ভূমিহীনদেরে মাছচাষের জন্য ২ একর ৫০ শতক জায়গায় রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি পুকুর। প্রতিটি পরিবারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১টি করে টিনের ঘর, স্যানেটারী ল্যাট্রিন, বন্ধু চুলা(উন্নত চুলা), এ ছাড়াও ৬টি পরিবারের জন্য ১টি করে মোট ১০টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে গুচ্ছগ্রাম। এর পাশাপাশি রয়েছে ফুল ও ফলের গাছের চারা রোপন করা। এছাড়াও ভূমিহীন পরিবারকে স্বাবলম্বি করতে গড়ে তোলা হয়েছে ১টি সঞ্চয় সমিতি। সরকারি ভাবে সুন্দরপুর ইউনিয়নে দুটি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করে ৮০টি ভূমিহীন পরিবার মাথা গোজাবার ঠাই পেয়েছে এবং ভূমিহীনদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, এসব ভূমিহীন পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ধারে সরকারী ও মালিকানাধীন ভূমির উপরে অতি কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিল, তাদেরকে সরকার গুচ্ছগ্রামে পুনর্বাসিত করার জন্য গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প গ্রহণ করে ঘর তৈরি করে বসবাসের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। যাতে তারা আর ঘর বা ভূমিহীন ভূমির জন্য এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে না হয়। ভূমিহীনদের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ হতে জমির দলিলসহ যাবতীয় কাগজপত্র প্রদান করা হয়েছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান