আইসিজের নির্দেশ মানবে না পাকিস্তান
ডেস্ক রিপোর্ট : কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদ-ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। তবে খুব শিগগির তা খারিজ করতে চলেছে পাকিস্তান। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সেনা আদালতের সিদ্ধান্তই কার্যকর করবে তারা। এমনটাই দাবি পাকিস্তানি খবরের চ্যানেল ‘দুনিয়া নিউজ’-এর। তাদের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না ইসলামাবাদ। দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে সবকিছু জানানো হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ খারিজ করা যেতেই পারে।’ ‘ডেইলি পাকিস্তান’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই কথা বলা হয়েছে। তাদের দাবি, ‘পাকিস্তান বা কোনো রাষ্ট্রই আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মানতে বাধ্য নয়। গত ২৯ মার্চ নিজেদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আদালতের এখতিয়ারের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ। জাতিসংঘে দেশের প্রতিনিধি মালিহা লোধি মারফত আন্তর্জাতিক আদালতকেও তা জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বিরোধ হোক বা সশস্ত্র সংঘাত অথবা বিদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতের কোনো সুপারিশ মানতে বাধ্য থাকবে না পাকিস্তান। তাই মোদি সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, এই মামলায় পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করতে পারবে না।’ আজকাল
মৃত্যুদ- কার্যকর করতে পাকিস্তান কুলভূষণ যাদবের স্বীকারোক্তিকে হাতিয়ার করতে পারে বলে গোপন সূত্রে খবর। নৌসেনা থেকে অবসর নিলেও, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর হয়ে কাজ করছিল বলে গত বছরই বয়ান দিয়েছিলেন যাদব। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের বিরুদ্ধে অস্থিরতা তৈরি করতে চেয়েছিলেন বলেও মেনে নেন। তাই সাজা কার্যকর করতে বিশেষ বেগ পেতে হবে না ইসলামাবাদকে। যদিও ১৯৬৩ সালে ভিয়েনায় একটি বিশেষ চুক্তিতে সই করেছিল ভারত ও পাকিস্তান। যাতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে এমন কোনো সমস্যা দেখা দিলে সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক আদালত এগিয়ে আসতে পারে। কিন্তু কুলভূষণের ক্ষেত্রে ২০০০ সালের জুন মাসের ঘটনা তুলে ধরে আইসিজের রায় অস্বীকার করছে পাকিস্তান। সেই সময় ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি নৌসেনার একটি নিরস্ত্র বিমানকে গুলি করে নামানোর অভিযোগ তুলেছিল তারা। আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল বিষয়টি। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সেই সময় আদালত ছাড় পেয়ে যায় ভারত। কুলভূষণকে নিয়ে ভারতকে জব্দ করতে একই পথে হাঁটছে ইসলামাবাদ। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ