সহায়ক সরকারের আলাদা রূপরেখা দেবে বিএনপি : মওদুদ
কিরণ সেখ : ‘নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার কিভাবে গঠন করা যায়’ এর জন্য বিএনপি আলাদা রূপরেখা দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমরা (বিএনপি) সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক সরকারের কথা বলি, আপনারা এই সরকারকে সহায়ক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক বলেন আর নির্দলীয় সরকারই বলেন, যেটাই বলেন না কেন, আমরা এমন একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই যে সরকারের নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ থাকবে না। তার জন্য আমরা আলাদা রূপরেখা দেব। মনে করবেন না, আমরা বসে আছি। আমরা এটার রূপরেখা দেব এবং আমরা বলবো কিভাবে এ সহায়ক সরকার গঠন করা যাবে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান তিনি।
‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন : নির্বাচন সহায়ক সরকার : সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সভায় তিনি বলেন, দুঃখ লাগে। যখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘ভিশন-২০৩০’ পাঠ শেষ করেননি বা শেষ করেছেন, ওই সময় সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলা হলো, অন্তঃসারশূন্য। আমার বক্তব্য, যারা এ কথাটা বলেছেন, তারা নিজেরাই অন্তঃসারশূন্য। তারা যদি সত্যিকার অর্থে গঠনমূলক রাজনৈতিক দল হয়ে থাকে, তাহলে ‘ভিশন-২০৩০’কে অভিনন্দন জানাতেন।
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, গত ৪০ বছরে কোনো রাজনৈতিক দল এ ধরনের চিত্র তুলে ধরেন নাই। সুতরাং আপনাদের এ প্রতিক্রিয়া ঠিক হয় নাই। এটা পড়ে দেখে সুনির্দিষ্টভাবে বলা উচিত ছিল কোন বিষয়ে আমরা সঠিক বলি নাই। তাহলে ভালো হতো। বিএনপির ‘ভিশন-২০৩০’তে সমঝোতার কথার উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা সমঝোতার কথা বলি রাজনীতিক এবং কৌশলের কারণে। কিন্তু এর উত্তর আসতে হবে রাস্তায় এবং মাঠে। কারণ আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নাই।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নির্বাচন সহায়ক সরকার বলেন আর যাই বলেন, রূপরেখা আপনাদেরকে (বিএনপি) দিতে হবে। লড়াইয়েও থাকতে হবে, আবার সমঝোতার কথাও বলতে হবে। এখন কি আপনারা আন্দোলন করবেন নাকি সমঝোতা করবেন সেটাও আপনাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি সহায়ক সরকারের কথা বলেন- তাহলে সাংবিধানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিতে পারবেন না। তাই আন্দোলন এবং সমঝোতা দুটো নিয়েই ভাবতে হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ