আতিয়া মহলের দুই মামলা নিয়ে পিবিআইয়ের প্রেসব্রিফিং আজ
আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট : দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহল থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার ও অভিযান চলাকালে অদূরে বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলা দুটির অগ্রগতি নিয়ে আজ সোমবার ব্রিফিং করা হবে।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত সুপার সারোয়ার জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, ‘পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে আতিয়া মহলের মামলা দুটি পিবিআইতে ¯’ানান্তর করা হয়েছে। মামলা দুটি নিয়ে আগামী সোমবার ১৫ মে গণমাধ্যমে প্রেসবিফ্রিং করা হবে, তখন সবকিছু জানানো হবে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে আতিয়া মহলের মামলা দুটি পিবিআই তদন্ত করবে। মামলা স্থানান্তর করাসহ আতিয়া মহল থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন আলামত পিবিআইকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ মার্চ দিবাগত রাত থেকে আতিয়া মহল ঘিরে শুরু হয় পুলিশের তৎপরতা। ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে ওই বাড়ি রাতেই ঘিরে ফেলা হয়। ২৪ মার্চ বিকেলে পুলিশ, র্যাবের সঙ্গে যোগ দেয় স্পেশাল উইপন্স এন্ড ট্যাকটিক্স (সোয়াট) টিমের সদস্যরা। ২৫ মার্চ সকাল থেকে ভবনে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোরা। অভিযান চলাকালেই ওইদিন সন্ধ্যায় আতিয়া মহলের প্রায় আড়াইশ গজ দূরে প্রচ- শব্দে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। এর কিছু সময় পর আরেক দফা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আরো তিন জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন। বাকিদের মধ্যে ২ জন ছাত্রলীগ নেতাও ছিলেন।
গত ২৮ মার্চ শেষ হয় সেনা কমান্ডোদের অভিযান। সেনাবাহিনী জানায়, অভিযানে চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। তন্মধ্যে তিন জন পুরুষ, একজন মহিলা। পরে ৩ এপ্রিল থেকে আতিয়া মহলকে বিস্ফোরকমুক্ত করতে ‘অপারেশন ক্লিয়ারিং আতিয়া মহল’ শুরু করে র্যাব।
১০ এপ্রিল শেষ হয় তাদের অভিযান। র্যাব আতিয়া মহল বুঝিয়ে দেয় পুলিশের কাছে। ১১ এপ্রিল আতিয়া মহল মালিক ও ভাড়াটিয়াদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। অনেক ভাড়াটিয়াই নিজেদের মূল্যবাদ মালামাল খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করেন। ভবনের সকল ভাড়াটিয়াই নিজেদের মালামাল নিয়ে অন্যত্র চলে যান। বর্তমানে বিধ্বস্ত অবস্থায় ভবনটি পড়ে আছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান