জামায়াতের সাথে সম্পর্ক ভিশন ২০৩০-তে প্রকাশের অবকাশ নেই : ফখরুল
কিরণ সেখ : আগামী ৩০ সালে জামায়াতের সাথে বিএনপির সম্পর্ক কী হবে সেটা ‘ভিশন- ২০৩০’ তে প্রকাশের কোনো অবকাশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সেন্টার ফর ন্যাশনাল এন্ড রিজিওনাল রিসার্চ স্ট্যাডিজ আয়োজিত ‘ভিশন অব বিএনপি-২০৩০’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপির মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি এই ভিশনে আসার বিষয় নয়। জামায়াত ও ২০ দলের সাথে আমাদের (বিএনপি) ঐক্য, সম্পূর্ণভাবে আন্দোলন কেন্দ্রিক। আপনারা ২০ দলের ঘোষণাপত্র দেখুন, সেখানে পরিষ্কার করে বলা হয়েছিল, এই ২০ দল গঠন করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্র, স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদি কায়দায় জনগণের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদেরকে পরাজিত করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটা আন্দোলন সৃষ্টি করাই হচ্ছে এর মূল লক্ষ্য।
‘ভিশন-২০৩০’ নিয়ে আলোচকদের বক্তব্যে বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, মতামত দেয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে আমরা প্রত্যাশা করছি, আপনাদের মতামত লিখিতভাবে আমাদের জানাবেন। আমরা আপনাদের মতামত বিবেচনা করে দেখবো।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, তারা ‘ভিশন-২০৩০’ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করবেন। কিন্তু তারা যা বলেছেন, তা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। সুতরাং তাদের ধন্যবাদ দিতে পারছি না।
বিএনপি ‘ভিশন-২০৩০’ আওয়ামী লীগের অনুকরণ- আওয়ামী লীগের নেতাদের এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগই বিএনপিকে অনুকরণ ও অনুসরণ করে। সুতরাং আওয়ামী লীগের ভিশন আমরা অনুকরণ করি না। তবে আমরা বলতে পারি, তারা (আওয়ামী লীগ) তাদের ভিশনে, তাদের রাজনীতিতে, তাদের গঠনতন্ত্রসহ বহু ক্ষেত্রে আমাদের অনুসরণ করেছেন এবং জিয়াউর রহমানকে অনুকরণ করেছে।
আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণস্বাস্থ্য বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক দিলারা জামান, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহ- তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।