‘ডার্টি মানির’ অনুসন্ধানে আপন জুয়েলার্সের শোরুমে শুল্ক গোয়েন্দার অভিযান
সুজন কৈরী : রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা। ‘ডার্টি মানি’ বা ‘অবৈধ টাকা’র উৎস অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালান তারা। গতকাল রোববার সকাল থেকে আপন জুয়েলার্সের গুলশান, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারের পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালানো হয়। এ সময় গুলশানের একটি শোরুম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান জানান, মার্কেট বন্ধ থাকার পরও ডিসিসি মার্কেটে ওরা দোকান খুলেছে। তারা যাতে দোকান থেকে কোনো কিছু সরাতে না পারে সেজন্য সিলগালা করেছি। তিনি আরও বলেন, আগামীকাল (আজ সোমবার) আপন জুয়েলার্সের মালিক বা তার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সিল করা দোকানটি খুলে এতে থাকা সোনাদানার পরিমাণ পরীক্ষা করা হবে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে, বহুল আলোচিত ধর্ষণের ঘটনা চাপা দিতে বিপুল অর্থ খরচের চেষ্টা হয়েছে। এই অর্থের উৎস ‘ডার্টি মানি’ কি না, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অস্বচ্ছ কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই দুজনের পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপন জুয়েলার্সের ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়েছে। অস্বচ্ছতা পাওয়া গেলে দিলদার ও শাফাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, সোনা-হীরার উৎস ও পরিশোধযোগ্য শুল্ক কর সম্পর্কে খ্ােজ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদজশরের কর্মকর্তারা বলছেন, গত প্াঁচ বছরে দেশে কোনো বৈধ বাণিজ্যিক আমদানি না থাকায় শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে প্রাথমিকভাবে আপন জুয়েলার্সের সোনা ও হীরার ব্যবসায় অস্বচ্ছতা প্রতীয়মান হয়েছে।