‘বস্তিবাসীরা প্রদীপের নিচের অন্ধকারের মতো’
শাকিল আহমেদ: বস্তিবাসীরা আমাদের উন্নয়ন ও অভিযাত্রায় বড় ধরনের ভুমিকা রাখলেও তাদের উন্নয়নে সরকারের উল্লেখযোগ্য কোনো ভুমিকা লক্ষ করা যায় না। তাদের শিক্ষার অধীকার নিশ্চিত করার জন্য কার্যকরি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। শিক্ষা ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন অর্জনে জবাবদিহিতা, সচ্ছতা, অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরী। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর উদ্যোগে “বস্তিবাসীদের অধীকার ও বাস্তবতা: টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের বাধা ও করনিয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় আইএনএম এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে (আসক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন,সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি ও উচ্চ আদালতের স্বীকৃতি থাকার পরও নি¤œ আয়ের মানুষের বাসস্থানের অধিকার নিশ্চিত করাসহ তাদের নানা অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বড় উদাহরন হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বস্তিগুলোতে ধারাবাহিক ভাবে অগ্নিকান্ড এবং কোন রকমের পূণর্বাসনের ব্যবস্থা না করে তাদেরকে উচ্ছেদের ঘটনা ক্রমাগতভাবে ঘটেই চলছে। তাদের বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বড় ধরনের শিথিলতা লক্ষ করা যায়। তিনি আরো বলেন , নিম্ম আয়ের মানুষকে মানবেতর জিবন যাপনের মধ্যে রেখে টেকসই উন্নয়নেরে অভিষ্ট অর্জন সম্ভব নয়। এসময় অন্য বক্তারা বলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই গ্রামের মানুষ বাস্তহীন হয়ে শহরমুখী হতে বাধ্য হচ্ছে। এ বিষয়টি সরকারকে গুরুত্বের সাথে ভাবতে হবে। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশের পরিচালক তাহমিনা রহমান, ব্রাকের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের পরিচালক গওহর নাঈম ওয়ারা, এপিডব্লিউএলডি এর প্রোগ্রাম অফিসার সানাম আমীনসহ শুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ