অনুমোদনের জন্য আজ একনেকে নেত্রকোনা বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প
সাইদ রিপন : অনুমোদনের জন্য আজ একনেক সভায় তোলা হচ্ছে নেত্রকোনা-বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে ঢাকার সাথে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনসহ ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের যানজট নিরসনে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আজ একনেক সভায় অনুমোদন পেলে জুলাই ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬১ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত সড়কটি নেত্রকোনা জেলা সদর থেকে শুরু হয়ে ময়মনসিংহ জেলার উশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদরে গিয়ে শেষ হয়েছে। ২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এই গুরুত্বপূর্ণ জেলা সড়কটির বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। সড়কটি নেত্রকোনা জেলা সদর হতে শুরু হয়ে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় শেষ হয়েছে। বিদ্যমান সড়কটি ২.৭৫ কিলোমিটার পাকা, ৩.৭৫ কিলোমিটার এইচবিবি এবং অবশিষ্ট ২২ কিলোমিটার অংশ কাঁচা রাস্তা। বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার জনসাধারণকে ৫৬ কিলোমিটার দুরত্ব অতিক্রম করে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়ক দিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় যেতে হয়। সড়কটি নির্মিত হলে উপজেলা দুটির দূরত্ব হবে মাত্র ২৮ কিলোমিটার। এছাড়া বিদ্যমান অবকাঠামো দিয়ে স্থায়ীভাবে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য এবং শিল্পের কাঁচামাল পরিবহনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২৫০০ কি:মি: সড়ক উন্নয়ন ও পুনর্বাসন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ২৮.৫০ কি:মি: সড়ক উন্নয়ন করা হবে, যা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রকল্পটি ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীনভাবে সংযুক্ত অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, এমটিবিএফবুক্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটির অর্থায়নের নিশ্চয়তা দিয়ে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে। এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নেত্রকোনা জেলার বিশিউড়া ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাথে নিরাপদ ও উন্নত যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এবং প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।
প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রমগুলো হলো- প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৪১.১২ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিপূরণ, ৮.৮৪ ল:ঘ:মি: সড়কবাঁধে মাটির কাজ, ৪.৫০ কি:মি: বিদ্যমান সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতীকরণ, ২৩.৭২ কি:মি: নতুন সড়ক নির্মাণ, ২৮.২২ কি:মি:সড়ক ডিবিএস ওয়ারিং কোর্সসহ সার্ফেসিং, ১২১.১৮ মি: আরসিসি এবং পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (৪টি), ১৫০ মি: আরসিসি বক্স কালভার্ট (৪৩টি), ১৫০০০ ব:মি: জিও-ক্সেটাইলসহ সিসি ব্লক, ২৫৬০ মি: আরসিসি প্যালাসাইডিং, ২০০০ মি: টো ওয়াল, ২০০০ মি: ব্রীক মেশনারী ইউ-ড্রেনসহ আরসিসি সøাব, ৮০টি ট্রাফিক সাইন, ৮০টি সাইন পোস্ট, ৬০০টি কংক্রিট গাইড পোস্ট, ৩০টি কংক্রিট কি:মি: পোস্ট, ৬৭৭২.৮০ ব:মি: রোড মার্কিং- থার্মোপ্লাস্টিক ম্যাটেরিয়াল ও নির্মাণকালীন রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করার সংস্থান রয়েছে।