শামিউল হক শামীম চলনবিল : বাল্যবিয়ে প্রবণ এলাকা চলনবিলের তাড়াশ উপজেলায় আদিবাসী কিশোর-কিশোরীদের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জনসচেনতার জন্য পথনাটক পরিবেশিত হচ্ছে। জানা গেছে, চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার আধিবাসী অধ্যুষিত মাধাইনগর ও দেশীগ্রাম ইউনিয়নের স্কুলগামী কিশোর-কিশোরী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তা প্রতিরোধে জনসচেতনার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। বিশেষ করে যাদের বাল্য বিবাহ দেওয়া হচ্ছে তাদের কে ঐক্যবদ্ধ করা, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে পারিবারিকভাবে সচেতন করা, সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে তা নিমুর্ল করার জন্য কাজ করছে একটি বেসরকারি সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ছায়াপরি প্রকল্পের মাধ্যমে নিভৃত পল্লীতে বাল্য বিয়ের ফলে শিশুর সামাজিক ও মানসিক সমস্যর ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরে পথে পথে পথ নাটক করে যাচ্ছে। এতে অভিনয় করছেন স্কুল কলেজের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। তাদের উদ্দেশ্য একটাই বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২টি ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর, দুলিশ্বর, শোনগই, সরাপপুরসহ বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের পথে পথে তাদের লেখা পথ নাটক ‘শেষ পরিণতি’ মঞ্চস্থ করছেন।
এতে এলাকার আদিবাসী শিক্ষার্থীরা অভিনয়, বক্তব্য, তাদের জীবনের কথা তুলে ধরে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এতে সমাজের অভিভাবক, পরিবারে নারী পুরুষ সিদ্ধান্ত গ্রহীতাদের উপস্থিত রাখা হচ্ছে। যাতে করে বাল্যবিয়ের কুফল বুঝে স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদের আগামী ভবিষ্যত হিসেবে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে গড়ে তোলা যায় । এছাড়া পরিবার ও সমাজের মধ্য থেকে বাল্যবিয়ের প্রতিরোধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয় সে চেষ্টাও রয়েছে। এদিকে পথ নাটকের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে বন্ধের জনসচেতনতার উদ্যোগটি এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক সপ্তাহে ২টি ইউনিয়নে ৬টি পথনাটকে বাল্যবিয়ের কুফল তুলে বক্তব্য রাখেন- ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, মো. আবু হাসান মির্জা, ডিডিপির নির্বাহী পরিচালক কাজী সোহেল রানা, কুমারী মিনা রানী মাহাতো, স্বরসতী উরাও প্রমুখ। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান