আমার কী আর করার আছে, মন্ত্রণালয় আমাকে কিছুই জানায়নি কবে দিতে পারবে : অ্যাটর্নি জেনারেল
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : নিম্নœ আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্যোগে অসন্তুষ্ট আদালত। তারা বার বার সময় মঞ্জুর করলেও অসন্তুষ্টির বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলও শুনেছেন। কিন্তু তিনি নিরুপায় বলেই একের পর এক সময় চেয়ে যাচ্ছেন। এই কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, আমি নিম্নœ আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করছি কারণ এর বাইরে আমার এখন করার কিছু নেই। আসলে আমি তো জানি না এটা কবে নাগাদ প্রকাশ করা হবে। কারণ এই ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে কিছু এখনো জানানো হয়নি। তারা যদি না জানান সেখানে আমার তো কিছু করার থাকে না। বার বার সময় চাওয়া নিয়ে আদালতের সামনে বিব্রত হতে হচ্ছে এই বিষয়টি সরকারকে জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো আদালতের মনোভাব, আদালতের চাওয়া, আদালত যেসব কথা বলছেন সেগুলোতো আমি জানাচ্ছি। আমার দায়িত্ব আমি পালন করছি। সরকার যখনই বিধি করবে, গেজেট করবে এবং তা প্রকাশ করবে আমি বিষয়টি আদালতকে জানাবো। এমনকি আমাকে সময় জানালেও আমি জানিয়ে দেব। এখনো আমি জানি না সরকার কবে নাগাদ এটি প্রকাশ করতে পারবে। আইনমন্ত্রী বিদেশে থাকার কারণে সর্বশেষ এই বিষয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়নি। শিগগিরই আবারও কথা বলবো। আদালতের বিষয়টিও জানাবো। আমার মনে হয় তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন এবং বিধি করে তা প্রকাশ করবেন।
আমার সঙ্গে আলাপ হলে এ ব্যাপারে তিনি আমাকে যদি জানান কবে নাগাদ করা হবে মন্ত্রণালয় করতে পারবে সেটা আদালতকে জানাবো। দুই সপ্তাহ সময় পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে যদি এমন হয় যে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকার করে ফেলে তাহলে আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করবো।
উল্লেখ্য, নিম্নœ আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের জন্য বার বার অ্যাটর্নি জেনারেল সময় আবেদন করেন। আদালতও বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে আদালতের মনোভাব প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সময়ও দিয়েছেন। গত সোমবারও অ্যাটর্নি জেনারেল আবারও এই জন্য সময় প্রার্থনা করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আরও দুই সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেন। আদালতের কাজের শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল আবারও সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন বিচারপতি ওয়াহাব মিঞা তাকে উদ্দেশ করে বলেন, মি. অ্যাটর্নি জেনারেল দুই সপ্তাহ থেকে চার সপ্তাহ হয়ে গেল? তখন প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, নিজেই চেয়েছেন এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, চার সপ্তাহ। পরে যখন আসবে তখন আট সপ্তাহ চাইবেন। তখন বিচারপতি ওয়াহাব মিঞা বলেন, শুনেন, চিফস্যার (প্রধান বিচারপতি) যাবেন, ম্যাডাম (বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা) যাবেন। আমি গেলে দিয়ে দিয়েন। প্রতিদিন বলতেছি। লজ্জা লাগে। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আইনমন্ত্রীর দেশে না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন। এতে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি সব জানি। ঠিক আছে দুই সপ্তাহ।
অ্যাটর্নি জেনারেলও বলেন, আমি জানি এই বিষয়টি হলে ভালো হবে। এখন দেখা যাক মন্ত্রণালয় কয় দিনের মধ্যে করে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ