ঠাকুরগাঁওয়ে শিলাবৃষ্টিতে বসতবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
সাইফুল ইসলাম প্রবাল চৌধুরি, ঠাকুরগাঁও : ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান, মৌসুমি ফলের শতাধিক বাগানসহ ৫শতাধিক ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার বিকেলে ও সোমবার রাতে দুই দফা প্রচ- ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁও জেলার দুই উপজেলায় এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে দুই উপজেলার প্রায় ৫শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও পাননি সরকারি কোন সহায়তা।
কৃষি বিভাগ, ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, ঠাকুরগাঁও রাণীংশকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও, নন্দুয়ার ইউনিয়নের ও হরিপুর উপজেলার আমগাঁও এবং গেদুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত শত বাড়ি-ঘরের টিনের ছাউনি শিলাবৃষ্টির কারণে ল-ভ- হয়ে গেছে। প্রায় ৪৫ মিনিটব্যাপী এ শিলাবৃষ্টিতে কাঁচা-পাকা আমসহ বিভিন্ন ফল ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রাণীংশকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ও নন্দুয়ার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ঘরের মধ্যে ৯০ থেকে ৯২ ভাগ ঘরের টিন ফুটো হয়ে গেছে। এই গ্রামের লোকজনকে বর্তমানে মানবেতর অবস্থায় থাকতে হচ্চে। তাছাড়াও এ উপজেলার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর বোরো ধানখেত, ভুট্টা ও আম, কাঠাল লিচুসহ মৌসুমি ফলের শতাধিক বাগানসহ ৩ শতাধিক ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া হরিপুর উপজেলাও ৬টি ইউপিতে প্রায় দুই হাজার বোরো ক্ষেত, ২শতাধিক বাড়িঘর ও আম, কাঠাল, লিচুসহ মৌসুমি ফলের গাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে। এদিকে গত সোমবার বিকেলে প্রথম দফা ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পর ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর ও বাগান, ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন ৩০১ সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা জাহান লিটা ও রাণীংশকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান।
রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও আবদুল মজিদ মিয়া বলেন, তাদের বাড়ির দুটি ঘরের টিনের চালা শিলায় ফুটো হয়ে গেছে। তার সামর্থ্য নেই টিন কিনে ঘর মেরামত করার। এখনও সরকারি সহায়তাও পাইনি। কি যে করবো বুঝতে পারছেন না তারা। হরিপুর উপজেলার গেদুরা এলাকার বাসিন্দা রহিমুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ও মোর্শেদা বেগম জানান, শত শত বাড়ি ঘর এর টিন নষ্ট হয়েছে। ক্ষেতের ধান, অন্যান্য ফসল, আম,
এ বিষয়ে রাণীংশকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার প্রস্তুতি চলছে। তালিকা হলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাউদুদুল ইসলাম জানান, শিলা বৃষ্টিতে ফসল ও ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সম্পাদনা: মুরাদ হাসান