নারায়ণগঞ্জে ৪ আ.লীগকর্মীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসি
মনজুর আহমেদ অনিক, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে ৪ আ.লীগকর্মীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ২৩ জনকে মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কামরুন নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১২ মার্চ আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই বারেক, ফুফাতো ভাই বাদল, ছাত্রলীগ নেতা ফারুক ও কবীরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। গোপালদী ইউনিয়ন বিএনপির তৎকালীন সভাপতি আবুল বাশার কাশু ও তার লোকজন এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটায়। নিহত বারেকের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য আজগর আলী বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলা চলাকালীন সময়ে বাদী আজগর আলী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে রফিকুল ইসলাম মামলার বাদী হন। ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চাঞ্জল্যকর এই মামলার রায় প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমীন আক্তার বলেন, গতকাল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কামরুন নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ২৩ আসামির মধ্যে ১৯ জন উপস্থিতি ছিলেন। আদালতে উপস্থিত ১৯ আসামি হলেন- মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার কাশু, জহির উদ্দিন মেম্বার, আবু কালাম, ডালিম, ইয়াকুব আলী, রফিক, হালিম, রুহেল, শাহাবুদ্দিন, লিয়াকত আলী মাস্টার, সিরাজ উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, মোহাম্মদ হোসেন, আহাদ আলী, ইউনুছ আলী, ফারুক হোসেন, গোলাম আযম, আব্দুল হাই ও খোকন। এ মামলায় পলাতক রয়েছে আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বাদী ও রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পিন উপহার দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান